সংবাদ শিরোনাম
৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  » «   ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-কয়েস লোদী  » «   ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানালেন কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ক্রীড়াঙ্গন নতুন করে গড়ে তোলার এখনই সময়: মোমিনুল ইসলাম মোমিন  » «   শিক্ষক জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর-জেলা প্রশাসক  » «   পদত্যাগ করার পর যে সব কথা বললেন নাহিদ  » «   জগন্নাথপুরে ভূমিখেকো আ. লীগের সাথে ছাত্রদল নেতা মিলিত হয়ে কৃষক পরিবারকে মারধর ও হয়রানি  » «   ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটি  » «   বড়লেখায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই  » «   প্রত্যাশাকে হতাশায় পরিণত করা যাবে না-মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  » «  

৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন

সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের শেষ সীমানায় অবস্থিত বানাইয়া হাওর। হাওরের ওপারেই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা। বানাইয়া হাওরপারের মিঠাভরাং, মজলিসপুর, নোওয়াগাও, দাওরাই, কালনীচর, ফেছিসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম দুটি জেলার অন্তর্ভুক্ত। তবে যুগের পর যুগ এই এলাকার মানুষ যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিগত ৩০ বছর ধরে এই এলাকার মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েও মিলে নি সেতুর আশ্বাস।

১৯৯৬ সালের আগে বর্ষায় নৌকা আর হেমন্তে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই ছিল এখানকার একমাত্র ভরসা। সেই সময়ে এলাকার কিশোর তরুণরা বানাইয়া হাওরের বরাক বিলে নষ্টগাং এর উপর দিয়ে বাঁশের সেতু তৈরি করে সরাসরি যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করেন। সেই থেকে শুরু- এখনো চলছে বাঁশ, বেতের সাঁকো দিয়ে পারাপার। কিন্তু তিন দশক পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্মিত হয়নি একটি স্থায়ী ব্রিজ।

এই বাঁশের সেতু দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। বর্ষায় হাওরে পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে সেতুটি ডুবে যায়, ফলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। কখনো কখনো দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় সেতু, তখন আরও দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারে না, রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এই সংকট বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিঠাভরাং গ্রামের ছানাউর রহমান ছানু বলেন, ১৯৯৬ সালের আগে আমাদের এলাকায় কখনো গাড়ি প্রবেশ করে নি। ওই বছর বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করা হলে ঝুঁকি নিয়ে বেবিট্যাক্সি চলাচল শুরু করে। আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও একটি স্থায়ী সেতু পাচ্ছি না।

প্রবাসী কমিউনিটি নেতা কামরান কবীর বলেন, বিগত ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার আবেদন করা হলেও কোনো সরকারই ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত থেকে গেছে বানাইয়া হাওরপারের মানুষ। ১৯৯৬ সালে প্রথমে আমি এই বাঁশ বেতের সেতুটি করে দিই নিজস্ব অর্থায়নে। তারপর থেকে এ সেতুটির স্থলে স্থায়ী ব্রিজের জন্য সরকারি দপ্তরে আমলা-মন্ত্রীদের সাথে অনেক লবিং করেও ফলাফল পাই নি।

আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) জমির আলী বলেন, বাঁশের সেতুর কারণে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তার কিছু কাজ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে অবিলম্বে এখানে একটি পাকা ব্রিজ বাস্তবায়ন হলে দুই জেলার মানুষের জীবনমান উন্নত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে আর কোনো বাধা থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে- এমনটাই প্রত্যাশা বানাইয়া হাওরবাসীর।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.