আ.লীগ নিষিদ্ধের আগে সবার সঙ্গে কথা বলেছি: শফিকুল আলম

সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২৫, ৬:০৬ অপরাহ্ণপ্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের ব্যাপারে যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ছিলেন সমস্ত পার্টির সাপোর্ট ছিলো।
এখানে সবার সাথে কনসালটেশন ছিলো, আমরা সবার সাথে কথা বলেছি।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগন রুনি মিলনায়তনে এক মিট দ্যা রিপোর্টার্সে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুরো বাংলাদেশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে দাবি করে শফিকুল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, সমস্ত দেশকে ডাকাতির একটা জায়গা বানিয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশের ৭টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি খুবই নেক্কারজনক ঘটনা। এতে বুঝায় যায় ইন্ডিয়ান কর্তৃপক্ষ ফ্রিডম অব স্পিচে কতটা বিশ্বাস করেন। আমরা এটা দেখছি এবং যাদের চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই বাংলাদেশে খিবই রেসপেক্টেট নিউজপেপার বা ওয়েবসাইট বা টিভি স্টেশন। এতে বুঝায় যায় তারা সত্য কথাকে নিতে পারছে না।
এ বিষয়ে পালটা অ্যাকশনে বাংলাদেশ যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পালটা অ্যাকশনে গেলে তাদের অ্যাকশনটাকে বৈধতা দেওয়া হবে। আমাদের এটা কোনো ইচ্ছা নাই। ইন্ডিয়ান মিডিয়া, ইন্ডিয়ান টিভি সত্যিকার অর্থে মানুষের কাছে তামাশা বিক্রি করে প্রতিদিন, মনে হচ্ছে আগেকার ইন্ডিয়ার জি টিভিতে নাটকের যে অপনাদের দেখানো হতো সেগুলোর খণ্ডিতাংশ দেখানো হয়।
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্ট ডিলিটের বিষয়ে তিনি বলেন, ফেসবুকটা উনার প্রাইভেট স্পেস, এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের স্টেক ৩০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে কমানো এবং গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি অনুমোদন হয়েছে। এতে সরকারকে ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করে নেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এই পুরো বিষয়ে সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি। এ বিষয়ে সাংবাদিদের তদন্ত করে দেখার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আসছে এগুলোর কোনোটাই প্রফেসর ইউনূসের মালিকানায় নেই। একটা জিনিসের উপরও তার শেয়ার নেই। তিনি শুধু গ্রামীণ নামটা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় পরিচালিত হয়।