সিলেটে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে বালু-পাথর উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি গণদাবি ফোরামের

সিলেটপোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ণসিলেটে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে বালু-পাথর আহরণ ও উত্তোলনের ব্যবস্থা এবং পাথর শিল্প নগরী গড়ে তুলার জন্য সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরামের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেট, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহি উদ্দিন আহমদ, সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, গণদাবি ফোরাম সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি শামীম হাসান চৌধুরী এডভোকেট ও সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আহবান জানিয়ে বলেন, সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট-তামাবিল, সিলেট-গোয়াইনঘাট সড়কে সুবিধাজনক স্থানে সরকারি জমি অধিগ্রহণ করে পাথর শিল্প নগরী গড়ে তুলা প্রয়োজন।
সিলেট বিভাগ গণদাবি ফোরাম বর্তমানে যত্রতত্র গড়ে উঠা পাথর শিল্প, মিল ও কারখানাকে একই জায়গায় স্থানান্তর করে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে পাথর ভাঙ্গা ও বিক্রির দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সরকার এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠা পাথর ভাঙ্গা মিল বন্ধের কার্যক্রম শুরু করায় একদিকে যেমন ব্যবসায়ীরা হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অন্যদিকে এ শিল্পের সাথে জড়িত বহু লোক কর্মহীন হয়ে পড়ায় সামাজিক অশান্তির সৃষ্টি হওয়ায় সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারিভাবে পাথর শিল্প নগরী স্থাপন করে এসব মিল স্থানান্তরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে পাথর মিলগুলো চালু রাখার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্মরণাতীত কাল হতে সিলেট জেলার জাফলং, বিছানাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জ এলাকার সাদাপাথর এলাকায় বর্ষাকালে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের সাথে প্রাকৃতিক উপায়ে নানা জাতের পাথর ও বালু সঞ্চিত হয়। একটি পেশাদার গোষ্ঠি প্রাকৃতিক উপায়ে পাথর ও বালু আহরণ করে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং বিক্রিত পাথর সিলেট বিভাগের সর্বত্র ও দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত হয়ে নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হয়। অনুরূপভাবে সিলেট বিভাগের পাথর ও টিলা পরিবেশটিত এলাকায় ছোট-বড় খাল, ছড়া নদী-নালায় বর্ষকালে প্রাকৃতিক উপায়ে বালু সঞ্চিত হয়। পেশাদার লোকজন এই বালু আহরণ করে সরকারি রাজস্ব প্ররিশোধ করে বিক্রি করে। কিন্তু বিজ্ঞান আশির্বাদ না হয়ে অভিশাপ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে সঞ্চিত বালু ও পাথর উত্তোলনে পেলোডার, এক্সেলেটার সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পরিবেশ দূষণের পরিস্থিতির উদ্ভব ঘঠিয়েছে। তারা এহেন অবস্থা নিরসনে বালু-পাথর আহরণ ও উত্তোলনে সকল প্রকার আধুনিক যন্ত্রপাতি নিষিদ্ধ করে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে বালু-পাথর আহরণ ও উত্তোলনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এছাড়া নেতৃবৃন্দ পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পরিবেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী বা পরিবেশ পুলিশ বাহিনী গঠন, বনাঞ্চল সুরক্ষার জন্য বন প্রতিরক্ষা বাহিনী বা বন পুলিশ গঠন, সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার জন্য দূর্যোগ প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন এবং দেশের সকল বিচারালয়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য জ্যুডিশিয়াল পুলিশ বাহিনী গঠনেরও দাবি জানান।