মৃত ব্যাক্তিকে দাফনের ১৭দিন পর রবিউলকে জীবিত উদ্ধার! হবিগঞ্জের একদিনে ৩ লাশ উদ্ধার

বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১:৩৩ অপরাহ্ণদেশের চলমান অবস্থা একে বারে নাজে হাল। নিম্ম বৃত্ত ও মধ্যবৃত্ত পরিবার পড়েছে মহা বিপাকে। না বলতে পারছে না সইতে পারছে। বেশীর ভাগ সেক্টরে চলছে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও খাই খাই। দেশে নির্বাচন না হওয়ার আগ পর্যন্ত যদি সেনাবাহিনী মাঠে না থাকে তাহলে দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খুন, রাহাজানি, অন্যায় অবিচার শুরু হয়ে গেছে ।
আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে অস্ত্র ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, চোর ও ডাকাতদল। তারা সময় সুযোগ বুঝে আবারো মাঠে নামছে। হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ, শায়েস্তাগঞ্জ, শেরপুর, মৌলভীবাজার, সৈয়দপুর ও আউশকান্দি এলাকার বিগত দিনে সেনাবাহিনীর গাড়ি ডাকাতি মামলার আসামীরা আবারো বিভিন্ন কৌশলে মাঠ গড়ে লক্ষ কোটি টাকার মালিক বটে।
এদের মাধ্যমেই হবিগঞ্জ জেলায় আইন শৃঙ্খলা আরো বেশী খারাপ হওয়ার আশংখা রয়েছে। কারণ গত কয়েকমাস পূর্বে কি এক বিষয় নিয়ে মহা সড়কের আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারের সেনাবাহিনীকে না চেনা ও ভূল বুঝাবুঝির কারণে স্থানীয় কয়েকজন অজ্ঞাত সেনাবাহিনীর
লোকজন হামালা করে। আর এর মাস খানেক পর থেকে ঐ অপরাধী ও তাদের সহযোগীরা পুলিশের সাথে আড্ডা দিচ্ছে! জিজ্ঞেস করলে, না এটা তো কয়েক অভিযোগের তথ্যের জন্য। শুধু মাত্র নিজ স্বার্থ ও চলমান নানান বিষয়াদীর তাকার কারণে দেশের মানুষ থানা পুলিশের কাছে ভয়ে যেতে চায়না বা কথা শুনলেই পালাতো। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, পালিয়ে যাওয়ার শেখ হাসিনা পালানোর পর ধূসরদের ধরপাকড়াও চলমাননছিল। ডেবিলহাট মামলার ভয়ে দেখিয়ে ভিন্ন কৌশলে সারাদেশের জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আয়ান মিয়া বলেন, আল্লাহর মানুষকে উপরে যেমন সময় লাগেনা ঠিক তেমনিই সময় লাগে না পালাতে নিচে নামাতো। ঐ পুলিশের সাথে বিশাল সখ্যতা মহা সড়কের চোর- ডাকাত সহ সকল প্রকার
সিলেট ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার পুত্র গোয়ালাবাজার ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনস্থ মার্কেটের বগুড়া রেষ্টুরেন্টের কর্মচারী হিসাবে কর্মরত ছিলো।
জানা যায় গত (২৬ জুলাই) রেষ্টুরেন্ট থেকে সে নিখোঁজ হয়। তার সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখোজির পর গত (৩আগষ্ট) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার রেলস্টেশনের একটা ডোবা থেকে ঐ যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার নিখোঁজ রবিউলের লাশ বলে শনাক্ত করে।
সে সময় রবিউলের পরিবার অভিযোগ করেন, বগুড়া রেষ্টুরেন্টের মালিক বুলবুল মিয়া রবিউলকে হত্যা করে রেখেছিলো কুলাউড়ায়। পরিবর্তিতে রবিউলের পরিবার ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করতে গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা নিতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে আবার তারা মামলা দায়ের করতে চেষ্টা করেন কুলাউড়া থানায়। তবে, সেখানেও মামলা নিতে দিমত করেন কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ। পরিবর্তিতে আইনী কোন সহযোগিতা না পেয়ে গত (৬আগষ্ট) সেই লাশ নিয়ে রবিউলের মা ও তার আত্নীয় স্বজনরা ঢাকা সিলেট- মহাসড়কে গোয়ালাবাজার মোড়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় খুনিদের বিচারের দাবীতে রাস্তা অবরোধ করে বিশাল মানবন্ধন করেন।
এদিকে, সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল (২৩ আগষ্ট) শনিবার নবীগঞ্জ উপজেলার ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের সৈয়দপুর এলাকা থেকে রবিউলকে জীবিত পাওয়া যায়।
চাঞ্চল্যকর ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা জুরে বইছে আলোচনা সমালোচনা এবং পুলিশের বক্তব্য রবিউলকে তার পরিবারের সদস্যরাই খুজে বের করছে। এমনকি যে এলাকায় রবিউলকে পাওয়া গেছে সে এলাকায় রবিউলের নানার বাড়ি। পরে কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে রবিউলকে তাদের হেফাজতে নিয়ে তার জবানবন্দি রেকর্ড করে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
উক্ত ঘটনায় যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় প্রশাসন সহ দেশ বিদেশে সচেতন মানুষের মধ্যে নিখোঁজ, হত্যা, গণপিটুনি সহ নানান আতংক বিরাজ করছে।
একদিনে, গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) বীজনা নদী থেকে নয়াগাঁও এলাকার ২বছরের রিহান নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্যদিকে, খবর পেয়ে ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের আউশকান্দি ইউনিয়নের বনগাঁও ও পিঠুয়া গ্রামের মধ্যেবর্তী ব্রীজের নিচ নবীগঞ্জ থানা পুলিশ একজনের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ওমর ফারুক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রবিউল আত্নগোপনে ছিলো, তার পরিবারের সদস্যরাই তাকে জীবিত অবস্থায় পেয়ে আমাদেরকে খবর দেন। এদিকে, সিলেটের ওসমানী নগর, মৌলভীবাজার, নবীগঞ্জ- হবিগঞ্জ সহ আশপাশ এলাকার সর্ব সাধারণের মধ্যে নানান আতংক বিরাজ করছে। উক্ত চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এলাকার লোজনের মধ্যে নানান আতংক বিরাজ করছে। জনমনের হাজারো প্রশ্ন রবিউল জীবিত? তাহলে যাকে রবিউল ভেবে দাফন করা হয়েছে সে কে? এবং কারাই বা থাকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে গেলো? প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইলো সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃতি ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা হোক। এবং প্রকৃত অপরাধী যারাই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান সচেতন মহলের লোকজন।