দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ

সিলেটপোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ণক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে সম্পদ ও অর্থ আত্মসাতসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিরোধী বেআইনী কর্মকান্ডের জন্য বিশ্বনাথের দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির প্রাক্তন সভাপতি ফখরুল আহমদ মতছিনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শনিবার ( ৪ অক্টোবর) বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন বিশ্বনাথের এলাকাবাসী।
তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে এম এন ইসলাম খান জানান, ৩টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হয়েও ফখরুল আহমদ মতছিন অবৈধভাবে সভাপতির পদ আঁকরে ধরে বিগত ২০১৩ হতে ২০২০ সাল পর্যন্ত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, সিলেট জেলা পরিষদের দুই লক্ষ টাকা সহ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেন। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের একাধিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। অথচ গত ২৫ আগষ্ট দূর্নীতি দমন কমিশন, সিলেট তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ফখরুল আহমদ মতছিন রাজনৈতিক প্রভাব, প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে দূদকের প্রতিবেদন তার পক্ষে নিয়ে গেছে। এর ফলে সমাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে। দূদকের এ দায়মুক্তির প্রতিবেদন স্থানীয় এলাকাবাসী জনসাধাররণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বক্তারা আরো জানান, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজটি সিলেট জেলার একটি স্বনামধন্য, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ দণ্ডিত পলাতক আসামী হয়েও ফখরুল আহমদ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ করেও দায়মুক্তি পাওয়ার একটি নিকৃষ্ট নজির সৃষ্টি হয়েছে। যা অভিযুক্তকে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো অপকর্ম করার দুঃসাহস জোগাবে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, সরকারি অফিসগুলিতে পতিত স্বৈরাচারের দোসদের প্রভাব প্রতিপত্তি এখনো কমেনি। আমরা তার দায়মুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী ফখরুল আহমদ মতছিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো পুনঃতদন্ত করার জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের নিকট বিনীত আহবান জানিয়েছেন।