ওসমানীনগরে বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষ, বাবা ও মেয়ে নিহত
ওসমানীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ৪:২৪ অপরাহ্ণ
সিলেটের ওসমানীনগরে বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে হারুন মিয়া(২৮) নামের প্রাইভেটারের চালক ও তার মেয়ে আনিছা(১১) নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার দয়ামীর মাদ্রাসার সামনে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরো ৪জন গুরুতর আহত হয়। নিহত হারুন উপজেলার উমরপুর ইউপির মজিদপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া। দুর্ঘটনার পর পর তাজপুর ফায়ার ব্রিগেড, শেরপুর হাইওয়ে ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার তাজপুর থেকে সিলেটগামী যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার(ঢাকা মেট্রো-গ ১২-৪৮৫৫) সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার দয়ামীর মাদ্রাসার সামনে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা হবিগঞ্জগামী যাত্রবাহী (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৭) বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে প্রাইভেটকারটি দুমরেমুছরে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালক হারন মিয়া নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাইভেটকারের ওপর ৫ যাত্রী নিহত হারুণ মিয়ার মেয়ে আনিছা, তিন বোন ও ভগ্নিপতিকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকের কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে চালক হারুনের মেয়ে আনিছা মারা যায়। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি হাইওয়ে পুলিশ আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
নিহত হারুন মিয়া মামা দবির মিয়া হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার ভাগ্নে তার ছোট মেয়ে আনিছা ও তার ৩ বোন ও ভাগ্নিপতিকে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে সিলেট যাবার পথে হবিগঞ্জি বাসের সরাসরি চাপায় ঘটনাস্থলে হারুন মারা যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর হারুণের মেয়ে আনিছাও মারা যায়।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ও দুঘটনাকবলিত দুটি গাড়িই পুরিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।



