সিংকাপনী ব্রাদার্সরা ছিলেন মুসলিম জাতির রাহবার ও আলোকবর্তিকা- স্পীকার কাউন্সিলার সুলুক আহমদ
সিলেটপোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৩ অপরাহ্ণ
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, আজাদী আন্দোলন ও সিলেটের গণভোটের সংগ্রামী নেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাগ্মী মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী (র:) এর জীবনী গ্রন্থের এক প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৫টায় পূর্ব লণ্ডনের ফিল্ডগেইট স্ট্রীটস্থ আল খায়ের কনফারেন্স হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও লেখক মাওলানা আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে ও কে এম আবু তাহের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার কাউন্সিলার সুলুক আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক বাংলা পোষ্টের অনারারী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মফিজুর রহমান, টিভি ভাষ্যকার মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়েখ এমদাদুর রহমান আল মাদানী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদের সালেহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, চ্যারিটি চ্যাম্পিয়ন শায়েখ সালেহ আহমদ হামিদী ও কাউন্সিলার বদরুল চৌধুরী। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুফতি সৈয়দ মাহমুদ আলী।
‘কর্মবীর মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী’ গ্রন্থের উপর সিলেটের কবি ও সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন সালেহ লিখিত পর্যালোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক খান জামাল নুরুল ইসলাম। মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনীর বর্নাঢ্য জীবনী তুলে ধরেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আজিজুল আম্বিয়া। সিংকাপনী মাওলানা পরিবার সম্পর্কে ডঃ মোহাম্মদ আবুল লেইসের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রিদওয়ান আব্দুর রহমান চৌধুরী।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটি নেতা মাহিদুর রহমান, মুফতি সালেহ আহমদ, মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ, মাওলানা সৈয়দ নায়ীম আহমদ, মাওলানা আবুল হাসনাত চৌধুরী, বর্নবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা রফিক উল্লা, আব্দুল মুকিত, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুছ জকিগঞ্জি, বাংলাদেশ সেন্টারের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক এ কে শহীদুর রহমান, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান পরিষদ ইউকের সভাপতি হাজী আব্দুল বারী, পূর্ণাঙ্গ ওসমানী বিমান বন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রব, সাবেক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আহবাব মিয়া, কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী, কাউন্সিলার দীনা হোসেন, আমির উদ্দিন আহমদ মাষ্টার, আলহাজ্ব নুর বক্স, কবি শিহাবুজ্জামান কামাল, হাজী ফারুক মিয়া, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট জেইন মিয়া, মিছবাউর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারে, শিক্ষার উন্নয়নে, সাহিত্য-সাংবাদিকতা, রাজনীতি, কৃষির সম্প্রসারণ ও উপমহাদেশের প্রত্যেকটি আন্দোলনে যে অবদান রেখেছেন তা ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে। বিশিষ্ট লেখক ও ইতিহাসবিদ সৈয়দ জয়নাল আবেদীন এবং পরবর্তীতে কে এম আবু তাহের চৌধুরী ও মুফতি দেওয়ান আব্দুল্লাহ রাজা চৌধুরী বর্ধিত কলেবরে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী জীবনী লিখে ইতিহাসের এক মূল্যবান দলীল রচনা করেছেন। যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক ইতিহাস ও রেফারেন্স হয়ে থাকবে।
বক্তারা বলেন মাওলানা সিংকাপনী ব্রাদার্সের মধ্যে মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী সিংকাপনী, মাওলানা আব্দুল খালিক চৌধুরী সিংকাপনী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল কাদের চৌধুরী সিংকাপনী ও মাওলানা আব্দুল আজিজ চৌধুরী সিংকাপনী এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতাকামী মুসলমানরা যদি বৃটিশ বেনিয়াদের পৌনে দুইশ’ বছরের গোলামীর জিঞ্জির ভেঙে পাকিস্তান রাষ্ট্র না করতেন তাহলে আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রও স্বাধীন হতো না ।
গণভোটের মাধ্যমে সিলেটকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার তাদের অবদান অবিস্মরণীয়। সিলেট বিভাগ থেকে মুসলমান সম্পাদিত প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক আল জালাল সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে। মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী গ্রন্থে অনেক মূল্যবান দলীল ও তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। ১৯৪৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের উজিরে আজম খাজা নাজিম উদ্দিন সিলেট সফরে এলে সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে মাওলানা আব্দুর রহমান সিংকাপনী যে ২২দফা দাবী পেশ করেছিলেন তা আজ ইতিহাসের মূল্যবান দলীল।
অনুষ্ঠানে সিংকাপনী মাওলানা ভাতৃগণের জন্য কুরআন তেলাওয়াত করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম।




