সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে সরকার ভয় পায়। তাই তারা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় রায়ের নামে প্রহসন করে বেগম জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। ডাক্তাররা বার বার বলছেন উনার যে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তা দেশে সম্ভব নয়, উনাকে দ্রুত বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু সরকার কিছুতেই তাকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে বেগম জিয়াকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার বাদ যোহর বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে তার সুস্থতা কামনায় সিলেট নগরীর বন্দর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগ দোয়া মাহফিল ও শিরনী বিতরণ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায়কালে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নির্যাতিত ও নিপীড়িত নেত্রী বেগম জিয়া। সরকার তার জনপ্রিয়তাশ ভীত হয়ে তাকে অন্যায় ভাবে সাজা দেয়ার নাটক মঞ্চস্থ করে তার প্রতি অবিচার করছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষ তার সুচিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু সরকার তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখে। অভিলম্বে তাকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বেগম জিয়া দেশ ও জাতির প্রয়োজনে গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে এসেছিলেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে তিন মেয়াদে অত্যন্ত সফলতা ও দক্ষতার সহিত দেশ পরিচালনা করে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় এই বৃদ্ধ বয়সে এসে সরকার তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে। শুধু বেগম জিয়াই নন, দেশের সাধারণ মানুষও আজ চিকিৎসা পাচ্ছে না। সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রভাব আশঙ্কাজনজ হারে বেড়েছে। দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যার্থ এই সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, আওয়ামী দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরন করেছে। ভায়াবহ দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে দেশকে চরম সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাই এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া দেশকে সংকটমুক্ত করা সম্ভব নয়।
এসময় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), ইকবাল বাহার চৌধুরী, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব , সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, আমির হোসেন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. আবু তাহের, কোহিনুর আহমদ, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, জসিম উদ্দিন, শাকিল মোর্শেদ, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, মতিউর বারী খূশের্দ, দিনার খান হাসু, লল্লিক চৌধুরী, ডাঃ আশরাফ আলী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শামীম আহমদ, এড. আল আসলাম মুমিন, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, মির্জা বেলায়েত আহমদ লিটন, আক্তার রশিদ চৌধুরী, লোকমান আহমদ, এড. মুস্তাক আহমেদ, সায়েদুল হক সুহেল, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, শেখ মোঃ কবির মিয়া, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, মন্জুরুল হাসান মন্জু, সুয়াইব আহমদ শোয়েব, অর্জুন ঘোষ, আব্দুর রহিম মল্লিক, মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ মিজান আহমদ, আফসর খাঁন, আব্দুল আহাদ, শাহীন আলম জয়, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, রফিকুল ইসলাম রফিক, সাব্বির আহমদ, দেওয়ান আরাফাত জাকি, নাজিম উদ্দিন পান্না, দেলোয়ার হোসেন দিনার, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আকবর হোসেন, সুমেল আহমদ চৌধুরী, আক্তার হোসেন রাজু, জসিম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, মিনহাজ পাঠান, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, জিয়াউল হক জিয়া, আশরাফুল আলম বাহার, মফিজুর রহমান জুবেদ, রুবেল বক্স, আব্দুস সবুর রাসেল, আব্দুল মালিক সেকু, মোঃ আলমগীর হোসেন, আব্দুল মন্নান, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুস সালাম টিপু প্রমুখ।