সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পূত্র সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে,তার সহোদর নবেল মিয়া,মেহেরাব হোসেন রুনেল ও রায়হানসহ ৮/১০জনের একটি সন্ত্রাসী দল দিরাই প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফকে হত্যার উদ্দেশ্যে শহরের আরামবাগ বাসায় ঢুকে দাড়াঁলো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে দুইভাইকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় থানায একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আহত সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জোসেফ বাদি হয়ে,সরমঙ্গল ইউনিয়নের জারলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েলকে প্রধান করে তার দুই সহোদর নবেল মিয়া,মেহরাব হোসেন রুনেল ও চেয়ারম্যান পূত্র সামি(২০)এই চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে আসামী করে দিরাই থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
আহত সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জোসেফ জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের দিরাই উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মামলার বাদি এবং বিবাদিরা একই গ্রামের আত্মীয় হলেও জারলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা নিয়ে উভয়ের মধ্য পূর্ববোরাধ চলে আসছিল। এই বিরোধ নিয়ে ঘটনার দিন (অর্থাৎ) গত ৪ সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার বিকেলে জরালিয়া গ্রামে সালিশ বৈঠকে সরমঙ্গল ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জুয়েল,তার ভাই নবেল মিয়া পঞ্চায়েতের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রানণাশের হুমকি দিয়ে আক্রমন করতে উদ্যোগ নিলে সালিশের ব্যাক্তিদের হস্তক্ষেপে অঘটন ঘটেনি।
পরে সন্ধ্যায় সাংবাদিক ও তার ছোটভাই দিরাই শহরের আরামবাগের বাসায় আসার পর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার সহোদর নবেল মিয়া,মেহরাব হোসেন রুনেল ও চেয়ারম্যান পূত্র সামিসহ ৮/১০জনের একটি সস্ত্রাসী দল দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকের বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে বাসার সামনে সাংবাদিকের ব্যবহিৃত মোটর সাইকেলটি ভেঙ্গে দেয় হামলাকারীরা। রাতেই হামলাকারী রুনেলকে পুলিশ আটক করলে ও মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জোসেফ ও তার ছোটভাাই জাকির হোসেন জুহানের চিৎকারে তাদের স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রায়হান উদ্দিন উন্নত চিকিৎসা জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা এক অজানা আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী সাংবাদিক ও তার ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ এক আসামীকে গ্রেপ্তার করলে ও বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।