নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় শিশুর অঙ্গহানির (আঙ্গুল কর্তন) ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতর, মহাখালী ঢাকার স্মারক নং ডিজিএইচএস/শৃঙ্খলা-৪৫/১৫/১৯৩৩ স্মারকে সিলেটের সিভিল সার্জনকে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, সিলেটের কুষ্ট হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. তবিবুল ইসলাম ও গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমাংশু লাল রায়।
স্বাসস্থ্য অধিদফতরের গঠিত তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী ১৪ মে কমিটি সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে বলে রোববার স্মারক নং সিএসএস/সা-১/২০১৫৬২৫৩/৫ এ অঙ্গহানির শিকার শিশু সাফির পিতা সিলেট টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরকে অবগত করেছেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের সিলেট অফিসে ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের ৮ বছরের শিশুপুত্র সাফি দরজার হোজবেল্টে আঘাত পায়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আঙ্গুলে ‘গ্যাংগ্রিন’ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও সিলেটের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাফির ডানহাতের তর্জনী কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত বিশেষজ্ঞ তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।