সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে সরকারী দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলা মামলা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তত্ববধায়ক সরকারের দাবীতে সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জে ও ঢিলেঢালাভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে।
রোববার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিএনপির ডাকা হরতালের অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সহযোগিত সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় বিএনপির কার্যালয়ে জড়ো হয়ে পিকেটিং এর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
সকালের দিকে শহরে দোকানপাঠ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে ও বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে আস্তে আস্তে কিছু কিছু দোকানপাঠ ও যানবাহন রিক্সা,অক্ট্রোরিক্সা চলাচল করতে দেখা যায়। তবে দূরপাল্লার কোন যানবাহন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ছেড়ে যায়নি। যানবাহন না চলায় চরম র্দূভোগে পড়েন দূরপাল্লা যাত্রী সাধারন সহ আভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীরা।
শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্নস্থানে পুলিশ,র্যাব ও ডিবি পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যদের মোতায়েনের পাশাপাশি টহল দিতে দেখা যায়। এদিকে দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ আটকে দেয়। পরে কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আবুল কালাম,আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত,এ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী,এ্যাডভোকেট মাসুক আলম,আবুল কালাম,এ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হক,হোসেন আহমদ,এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন লালা,জুনাব আলী,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশেদ আলম,মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. রাকাব উদ্দিন,নুর হোসেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. সামছুজ্জামান,সহ সভাপতি সুহেল মিয়া,শাহজাহান মিয়া,সাধারন সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন,জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ খয়েছ,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,প্রথম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তফাজ্জুল হোসেন,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মমিনুল হক কালারচাঁন,রাকিবুল ইসলাম দিলু,সিরাজুল ইসলাম পলাশ,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহাঙÍীর আলমসহ বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দরা বলেন,ভোটারবিহীন নিশিরাতের এই অবৈধ সরকার শনিবারে ঢাকায় জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির স্মরণকালের মহাসমাবেশ দেখে ভীত হয়ে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ চলাকালে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লগ্গীবৈঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে সমাবেশ ভুন্টল করার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরা আহত হন বলে দাবী করেন ।
তারা আরো বলেন এবার দেশের আপামর জনসাধারন জেগে উঠেছেন সরকার বুঝতে পেরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অসংখ্যক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করেন। মহাসমাবেশে নিহত এক যুবদল কর্মীর হত্যাকারীদের দ্রুুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলখ শাস্তি প্রদানের জন্য দাবী জানান। নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন,সরকার থেকে যতই হামলা,মামলা,জেল জুলুম ও বাধা আসুক এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে সকল দলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে দেশের সকল ভোটারদের ভোটাধিকার প্রদানের সুযোগ নিশ্চিতের দাবী জানান। অন্যতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে উপস্থিত সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
এদিকে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ বলেন,বিএনপির ডাকা হরতালে জনমনে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি,সবকিছু যানবাহনসহ দোকানপাঠ খোলা আছে। সকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা তৎপর থাকায় কোনধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি শহরে যানবাহন নিরাপদে চলাচল করছে বলে ও তিনি জানান।