শ্যামলী পরিবহনের মালিকানা দ্বন্দ্বে হেড মিস্ত্রীকে অপহরণের পর হত্যা, ৫দিন পর লাশ উদ্ধার
সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ জানুয়ারি ২০১৬, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ
সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :সাভারে অপহরণের ৫দিন পর শ্যামলী পরিবহনের বাসের হেড মিস্ত্রী রতন মিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। পরিবহন শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের পর একটি শ্যামলী পরিবহনের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর করে। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সাভারের বলিয়ারপুর এনআর সিএনজি স্টেশনের পেছনে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ময়লা-আবর্জনার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, শ্যামলী পরিবহনের ৪০০ বাসের মালিক গণেশ চন্দ্র ঘোষ ও তার ভাই রমেশ চন্দ্র ঘোষ। এ দুই ভাইয়ের মধ্যে বাসের মালিকানা দ্বন্দ্বের জেরে রমেশ চন্দ্র ঘোষের মালিকানাধীন বাসের হেড মিস্ত্রী রতন মিয়াকে গত সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের বলিয়ারপুর এনআর সিএনজি স্টেশন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় গণেশ চন্দ্র ঘোষের শ্যালক স্বস্তি ঘোষ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় অপহৃত রতন মিয়ার ছেলে রনি গত মঙ্গলবার সাভার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই গতকাল শুক্রবার পুলিশ স্বস্তি ঘোষের সহযোগী গোপাল নামে একজনকে আটক করে এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ সাভারের বলিয়ারপুর এনআর সিএনজি স্টেশনের পেছনে ময়লা-আবর্জনার নিচ থেকে অপহৃত রতন মিয়ার (৪৫) লাশ উদ্ধার করে। তার হাত-পা কাটা ও চোঁখ উপরে ফেলা হয়েছে। এসময় পুলিশ নুপুর, লুৎফর রহমান, আজিম ও খাইরুল নামে আরো ৪ জনকে আটক করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধের পর একটি শ্যামলী পরিবহনের বাসসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ও এনআর সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর করে। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।নিহত রতনের ভাই বাবুল মিয়া জানান, গণেশ চন্দ্র ঘোষ ও তার ভাই রমেশ চন্দ্র ঘোষের শ্যামলী পরিবহনের বাসের মালিকানা দ্বন্দ্বের জের ধরেই তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।এ ব্যাপারে সাভার থানার এসআই শরিফুজ্জামান রাত সাড়ে ৮টায় সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং এ খুনের পেছনে আরো যারা জড়িত তাদের ধরার জন্য জোর অভিযান চলছে।




