মীর শোয়েব, জৈন্তাপুর::জৈন্তাপুর জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রবাসী মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ আব্দুস শুক্কুর হত্যায় এজহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫ নং ফতেহপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দলইপাড়া গ্রামের হাফেজ আব্দুস শুক্কুর হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাজির আলি (৬৫) ও মামলার ৭ নং আসামি বিলকিস বেগমকে(২২) গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায় সোমবার (১৮ই ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয় ঘটকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক সাহিদ মিয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপজেলার চারিকাঠা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বাউরভাগ দক্ষিণ এলাকা থেকে বিলকিস বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া বিলকিস বেগম দলইপাড়া গ্রামের বদরুল ইসলামের স্ত্রী।
বিলকিসের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় উপজেলা গর্দ্দনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি হাজীর আলিকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাফেজ আব্দুস শুক্কুর নিহতের ঘটনায় গত ২৫শে নভেম্বর পেনাল কোড ১৪৩/৪৪৭/৩৪১/৩০২/১১৪/৩৪ ধারায় সাতজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়, মালমা নং ২১। সেইদিন মামলা দায়ের পরপর অন্যতম আসামি বাবুল হোসেন (৬০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে বাবুল জেল হাজতে। তিনি আরো বলেন এজহার নামীয় বাকি সব আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
আটককৃত প্রধান আসামি হাজির আলি ও তার পুত্রবধূ বিলকিসকে পুলিশ প্রহরায় বিজ্ঞআদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্ল্যেখ্য গত ২৪শে নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল নয়টায় জমিসংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে হাফেজ মাওলানা আব্দুস শুক্কুর তার নিজ বাড়ীর সিমানায় আনারসের চারা রোপনকালে হাজীর আলির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসামিরা সংঘবদ্ধ আক্রমণ করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্হানীয়দের সহায়তায় তাকে সিওমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত হাফেজ আব্দুস শুক্কুর দীর্ঘদিন সৌদি আরব প্রবাসে কাটান। মৃত্যুর পূর্বে তিনি সিলেট নগরীর শাহপরান এলাকায় জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।