সিলেটপোস্ট ডেস্ক::বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের শত শত নিরিহ ছাত্রজনতাকে নির্বাচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের টাকায় কেনা বুলেট আমাদের সন্তানদের বুকে চালানো হয়েছে। জনতার তোপের মূখে গণখুনি শেথ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনো সর্বক্ষেত্রে তার দোসররা রয়েছে। খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে এবং তার দোসরদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ এই গণখুনিদের কখনো ক্ষমা করবে না।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্রজনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যাকারী খুনি শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দেশের সাধারণ ছাত্রজনতা সম্মিলিতভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। এখন খুনি হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাকে অভিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচারের পতন করিয়েই চলবে না। সর্বক্ষেত্র থেকে তাদের দোসরদের অপসারন করতে হবে। বিনাভোটে যারা জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারের গাড়ি-বাড়ি সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন, তা প্রত্যাহার করতে হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশন সহ যেসকল প্রতিষ্ঠানে ভোট ছাড়া জনপ্রতিনিধির চেয়ার আকড়ে আছেন, তাদেরকে অভিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সর্বপোরী ফ্যাসিস্টের সকল দোসরদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, শেখ মুজিবকে হিরো বানাতে গিয়ে আওয়ামীলীগ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাাসকে বিকৃত করেছে। তারা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সহ মুক্তিযোদ্ধারের অবদানকে স্বীকার করতে চায় না। ফলে আজ তারা রাষ্ট্রক্ষমতা হারিয়ে দেশের কোথও শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে পারছে না। দেশবাসী খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। তাদের বিচার অবশ্যই হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় বক্তব্য রাখেন এড. আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন চাকসু, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সালেহ আহমদ খসরু, নজিবুর রহমান নজিব, সুরমান আলী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এড. হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মামুনুর রশিদ মামুন, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, শামিম আহমদ, এড মোমিনুল ইসলাম মোমিন, আব্দুল আহাদ খঁান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শাকিল মুর্শেদ, মতিউল বারী খুর্শেদ, মকসুদ আহমদ, আফসর খঁান, আব্দুল আহাদ, নিগার সুলতানা ডেইজি, ফজলে রাব্বি আহসান, দেলোয়ার হোসেন দিনার।
কর্মসূচিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুদিপ রঞ্জন দে বাপ্পু, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, ইকবাল বাহার চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, আনোয়ার হোসেন মানিক, এড. সাঈদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, দিনার খান হাসু, রেজাউল করিম আলো, আমির হোসেন, এড. আল আসলাম মুমিন, লোকমান আহমদ, এড. বদরুল ইসলাম চৌধুরী, এড. মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, মাহবুব আলম, বাদশা আহমদ, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, অর্জুন ঘোষ, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহীন আলম জয়, এড. ওবায়দুর রহমান ফাহমী, আহমদ সোলায়মান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, আক্তার হোসেন রাজু, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, ইসলাম উদ্দিন, রেজাউল করিম নাচন, ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আক্তার রশিদ চৌধুরী. শেখ কবির আহমদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, রহিম মল্লিক, সৈয়দ রহিম আলী রাশু মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, আব্দুল হাকিম, শোয়াবুর রহমান শুয়েব, আব্দুল মুনিম, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, নাদির খান, খায়রুল ইসলাম খায়ের. তারেক আহমদ খান, সবুর আহমদ, নাজিম উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, রাসেল আহমদ, লুৎফুর রহমান মোহন. আব্দুল আজিজ লাকি, সাব্বির আহমদ, দেওয়ান আরাফাত জাকি, রফিকুল ইসলাম রফিক, আব্দুল মালিক সেকু, মিনহাজ পাঠান, লোকমানুজ্জামান লোকমান, এস এম সায়েম, সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, সুলেমান আহমদ সুমন, রুম্মান আহমদ, জম জম বাদশাহ, ফায়েজ আহমদ মুরাদ, আবু সাইদ মোহাম্মদ তায়েফ, বেলাল আহমদ প্রমুখ।