মাহবুবুর রহমান তুহিন::সেদিন ছিল শনিবার। ২০২৪ সালের তেসরা আগস্টের পড়ন্ত বিকেল। উত্তাল রাজপথ। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বিপ্লবের কাফেলা ছুটছে শহীদ মিনারের দিকে। শহীদ মিনার আমাদের অধিকার আদায়ের প্রতীক। এদেশের ছাত্রসমাজ যে ৫২-তে প্রজ্বলিত সাহসের দুর্বার শিখা প্রজ্বলন করেছিলো। সেই ছাত্রসমাজ আবার হায়েনার হাত থেকে প্রিয় স্বদেশকে মুক্ত করতে ২৪-এ রক্তের অক্ষরে শপথের স্বাক্ষর দিয়েছে সেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণেই। সমগ্র জাতি ছাত্রসমাজের আহ্বানে ঐক্যের পতাকা হাতে এগিয়ে চলছে। আমিও নিজেকে মিছিলে আবিষ্কার করলাম। যতক্ষণে শাহবাগ অ্যাভেনিউয়ের পথ ধরলাম, জনতার সাগর টালমাটাল। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। মিছিলের শুরু এবং শেষ কোথায় কারো জানা নেই। সবার কণ্ঠ মিলেছে একদফায়।
পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ‘Urdu and only urdu shall be the state language of Pakistan’ – মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র এই উক্তির সর্বপ্রথম প্রতিবাদ করেছিলো এদেশের ছাত্রসমাজ। যারা একটি শোষণমুক্ত সমাজ সৃষ্টির স্বপ্নে উদ্বেল থেকেছে, মারণাস্ত্রের মুখে নিজেকে দ্বিধাহীন সঁপে দিয়েছে। যারা অমানিশার আঁধার পেরিয়ে একটি নতুন প্রভাতের জন্য বুক পেতে দিয়েছে, যারা রক্তস্নাত এই পলল ভূমিতে মুক্তির বীজ বপন করেছে, যারা শির উন্নত করেছে ঘোষণা করেছে, ‘বাংলাদেশ তুমি আমার, আমি তোমাকেই ভালোবাসি’, তারা এদেশের ছাত্রসমাজ। জাতির সুস্থ বিবেকের প্রতিনিধি, শোষকের হাত থেকে শোষিতের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে আনার হাতিয়ার ছাত্রসমাজ। ৫২’র মহান ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাতিলের আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭১’র স্বাধীনতা সংগ্রাম, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররাই জাতিকে তাড়িত, চালিত, উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। আপোষহীন সংগ্রামের দিশা দেখিয়েছে। সাফল্যের মন্ত্র শিখিয়েছে। এদেশের ছাত্রসমাজের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ধারাকে আর একবার ইতিহাসের পাদপ্রদীপের আলোয় আনার দুর্বার শপথে ২৪-এ এসে আবারও জাতির স্কন্ধে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা স্বৈরাচারের শোষণের শেকড়কে সমূলে উৎপাটনের মাধ্যমে জাতিকে পরম কাঙ্ক্ষিত মুক্তির স্বাদ এনে দেয়া বীরসেনানী আমাদের ছাত্রসমাজ।
নদী বিধৌত এ পলল ভূমির অধিবাসীদের বোধ-উপলদ্ধি, আত্মশক্তি ও আত্মপরিচয় আবিষ্কারের নতুন মাত্রার সূচনা হয় ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। দরিদ্র ও কৃষিজীবী সম্প্রদায়ের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল বিদ্যাপীঠে এসে নতুন আঙ্গিকে, নতুন উদ্দীপনায়, নতুন জাগরণের পাঠ পায়। একদিকে তারা যেমন স্বাধিকার ও স্বাতন্ত্র্যবোধে উজ্জীবিত হয়, অন্যদিকে তাদের চেতনার গভীর থেকে গভীরে জীর্ণ পলেস্তারা খসে পড়া দেয়াল ভেঙে মানব মুক্তির চেতনায় উজ্জীবিত, উদ্ভাসিত ও উদ্দীপ্ত হওয়ার তাগিদ অনুভূত হয়। যেটি সে সময়ের তরুণদের মন ও মানস জুড়ে গভীর রেখাপাত করে। মূলত এ মধ্য দিয়েই এ অঞ্চলের মাটি-মানুষ ও মেঠো জীবন ঘিরে নতুন সম্ভাবনা ও স্বাধীনতার প্রবল আকাঙ্ক্ষা প্রজ্বলিত দুর্বার সাহসে ছড়িয়ে পড়ে বিস্তৃত প্রাঙ্গণে। এটি পরবর্তীতে কলকাতাকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক পটভূমির বাইরে ঢাকা কেন্দ্রিক ভিন্ন রং ও রেখায় স্বতন্ত্র একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। অধিকার আদায় ও আত্মপরিচয়ের একেকটি ফুল একটি সুতোয় গ্রন্থিত হয়ে যে মালা তৈরি হয় তার ওপর ভিত্তি করেই ৪৭’এর স্বাধীনতার প্রচ্ছদপট তৈরি হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের কাছে এটা স্পষ্ট হয় যে স্বকীয়তা রক্ষা, বৈষম্যের অবসান এবং নানা ধরনের সামাজিক অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য তাদের একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রকাঠামো প্রয়োজন; যার শাসন ও পরিচালন ভার নিতে হবে তাদের নিজেদের হাতে; এ ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। সে কারণে বাঙালি জাতি অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তান ভূখণ্ডের পূর্ব পাকিস্তান অংশ আলাদা হয় এবং সেখানে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয় হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশটির নাম দেওয়া হয় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগণের নিজেদের শাসন করার অধিকারসহ একটি সার্বভৌম ভূমি, যেখানে দেশের নাগরিকরা নিজেদের বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা নিয়ে সব ধরনের বৈষম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার পরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তার ভিত্তিতে সৃষ্ট বাংলাদেশের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য – প্রথমত, বাংলাদেশ হবে জনগণের দেশ এবং জনগণের দ্বারা পরিচালিত দেশ; অর্থাৎ গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত দেশ। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ হবে সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত, অন্যায়, অবিচার ও শোষণমুক্ত; অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক দেশ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা, যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’
এ পদ্ধতিকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার জন্য অবশ্যপালনীয় প্রথম শর্ত হলো, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন। এর পরপরই প্রয়োজন কার্যকর সংসদ; যার জন্য সেখানে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের উপস্থিতি অনস্বীকার্য।গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত দেশে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রাধান্য লাভ করে এবং সম্পদের সুষম বণ্টন হয়; অন্যায়, অবিচার, শোষণ, নিষ্পেষণ হ্রাস পায়; মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম গণতন্ত্রের নামে এখানে বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ মদদে একটি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার তার দানবীয় আস্ফালনে মানুষের সব অধিকারকে পদতলে পিষ্ট করে ফেললো। যেখানে শাসনকার্যে জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই; গণতন্ত্র বিপন্ন; যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? কেমন ছিল বিগত ১৫ বছরের বাংলাদেশ?
গণতন্ত্রের নির্বাসন: বিগত সরকার ক্রমবর্ধমানভাবে রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে কেন্দ্রীভূত করেছে, যা ফ্যাসিবাদের সর্বগ্রাসী দিককে প্রতিফলিত করে। গণতন্ত্রে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে তার প্রতিনিধি নির্বাচন করে। কিন্তু বিগত সময়ে নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল।
বিরোধী ও ভিন্নমত দমন: ফ্যাসিবাদী অন্যতম লক্ষণ রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন। বিরোধী দলসমূহের নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দায়ের, বিনা বিচারে কারাগারে আটক, আবার সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায়ে পাইকারি হারে শাস্তি প্রদান। সভা-সমিতিতে আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিবাদের শেষ চিহ্নটুকু মুছে দেয়া হয়। ২০১৮ সালে পাস হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সরকারকে রাষ্ট্র বা এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘মানহানিকর’ বক্তব্য পেশ করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার অনুমতি দেয়, যা কার্যকরভাবে বাকস্বাধীনতা রোধ করার সমতুল্য। ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ এবং ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচের’ মতো মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বারবার বিরোধী দলের কর্মীদের বন্দি এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিতর্কের সুযোগ সংকুচিত করার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করেছে। কিন্তু সরকার নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ: স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তথ্য প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যা ফ্যাসিবাদের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। সরকার ব্যাপকভাবে মিডিয়ার ওপর নজরদারি ও সেন্সর করেছে। সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকরা হয়রানি ও গ্রেফতারের শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যমের জন্য ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধ পরিবেশ প্রতিফলিত করে হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের ফ্রিডম র্যাংকিংয়ে নিচের দিকে নেমে গেছে।
দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক বৈষম্য: বিগত শাসনামলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করে। ব্যাংকিং খাত থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়। সরকারের মদদে রাষ্ট্রের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যায়। বেশিরভাগ সম্পদ কিছু রাজনৈতিক অভিজাত এবং ক্ষমতাসীন দলের অনুগতদের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল। সাধারণ জনগণ দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং মুদ্রাস্ফীতির শিকার হতে থাকে, যা তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ সৃষ্টি করে। মানুষকে পথে নামতে বাধ্য করেছে এক পর্যায়ে।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে রাজনৈতিক দলসমূহকে আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক অধিকার মানবিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে। গণতন্ত্রের মূলকথাই হলো – পরমত সহিষ্ণুতা। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত দার্শনিক ফরাসি দার্শনিক ভলটেয়ারের কথা প্রণিধানযোগ্য, ‘আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করি, কিন্তু আমার সাথে আপনার দ্বিমত পোষণ করার অধিকার থেকে যে আপনাকে বঞ্চিত করবে, তার বিরুদ্ধে আমি আমৃত্যু লড়বো।’
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একটি অন্যটির সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যটিও অক্ষত থাকতে পারে না। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত অত্যাবশ্যক। নাগরিক চেতনায় দেশপ্রেম, কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। একটি সুষ্ঠু ও স্বাধীন বিচার বিভাগ একটি কার্যকরী গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই আইনের শাসনকে সম্মান করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে আইনি ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে। এটি বিচার ব্যবস্থায় নাগরিকদের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
কর্তৃত্ববাদীর রাজদণ্ড যদি সীমাহীন সময় জনগণের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তোলে, তাদের ওপর অগণতান্ত্রিক আচরণের আস্ফালন আর অসম আগ্রাসনে আচ্ছন্ন করে তোলে, স্বৈরাচারী হয়, নির্বিচার-বিনা বিচারে হত্যা-গুমে লিপ্ত হয়, তাহলে প্রত্যাঘাত শুধু অসন্তুষ্টি থেকে আসে না। সেই অসন্তুষ্টি কখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো ‘বুকের ভেতর দারুণ ঝড়/ বুক পেতেছি গুলি কর’ এই রুদ্র বাণী ধারণ করে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়, তা স্বৈরশাসকরা আঁচ করতে পারেন না। তারা তখনও স্তাবকের চাটুকারিতায় অন্ধ বিভোর থাকেন। যখন তাদের হুঁশ ফেরে, তখন দেখা যায় দুঃশাসনের শেকড় উপড়ে ফেলতে ধেয়ে আসছে চতুর্দিক থেকে ধেয়ে আসছে জনতা। কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পেড়িয়ে বৈষম্যমুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, অন্যায়, অবিচার, শোষণ, নিষ্পেষণমুক্ত সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তে বিনির্মিত বাংলাদেশের এখন এগিয়ে যাওয়ার পালা।
লেখক: সিনিয়র তথ্য অফিসার, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়(পিআইডি ফিচার)