ওসমানীনগরে স্বাস্থ্য সহকারীদের ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মবিরতি

ওসমানীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ অপরাহ্ণনিয়োগবিধি সংশোধন, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং ও ১৪তম গ্রেডে আপগ্রেডেশনসহ ৬ দফা দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা।
গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— বেতন বৈষম্য নিরসন, নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও বিজ্ঞান সংযোজন, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে প্রতিকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান এবং ধারাবাহিকভাবে পদোন্নতিতে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্য সহকারীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। ন্যায্য দাবিগুলোর বাস্তবায়নে বারবার আন্দোলন করেও সমাধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা ১ অক্টোবর থেকে ইপিআইসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
তারা সরকারের প্রতি দ্রুত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র ও আসন্ন টিভিসি টিকাদান ক্যাম্পেইনসহ সকল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
কর্মবিরতিতে উপস্থিত ছিলেন— হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মনিন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অবিভক্ত বালাগঞ্জের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ রঞ্জন দেব, বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিক মিয়া, সহ-সভাপতি হেলেনা পারভীন ও প্রীতিশ চন্দ্র সূত্রধর, সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম জাকারিয়া শাহজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মওদুদ আহমদ ও ছামাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু চন্দ্র দাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক চক্রবর্তী, অর্থ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক সন্দীপ সূত্রধর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. এমরান মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পিয়াস সাহা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুমা রানী দাস, সদস্য মো. রেহান উদ্দিন জায়গীরদার, কৃষ্ণা রানী দে, শিমুল বারী প্রমুখ।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে অনেক অভিভাবক তাদের শিশুদের টিকা দিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। জনদুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।