আরও ৩০ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র
সিলেটপোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আরও দেশকে নিশানা করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, ৩০টির বেশি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজের দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সঞ্চালক জানতে চান, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কি নিষেধাজ্ঞার তালিকা বাড়িয়ে ৩২ দেশে উন্নীত করতে যাচ্ছে? জবাবে নোম বলেন, সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলব না, তবে এটা ৩০-এর বেশি। এ বিষয়ে এখনও পর্যালোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট।
চলতি বছরের জুনে ট্রাম্প একটি ঘোষণায় ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও সাত দেশের ওপর সীমিত প্রবেশাধিকার আরোপ করেন। নিরাপত্তা হুমকি ও ‘বিদেশি সন্ত্রাসীদের’ ঝুঁকি থেকে দেশকে সুরক্ষিত রাখার যুক্তি দেখানো হয়। নিষেধাজ্ঞা অভিবাসী ও পর্যটক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ অ-অভিবাসী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নোম কোন দেশগুলো নতুন করে তালিকায় যুক্ত হবে তা জানাননি। তিনি বলেন, যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে, যদি তারা নিজেদের নাগরিকদের পরিচয় যাচাই করতে এবং আমাদের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করতে না পারে- তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেন সেই দেশ থেকে মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেবে?
ওয়াশিংটন ডিসিতে গত সপ্তাহে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য হত্যার ঘটনায় একজন আফগান নাগরিককে দায়ী করা হয়। তিনি ২০২১ সালে একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। যা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই ছাড়াই তাকে গ্রহণ করা হয়েছিল। এর পরপরই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও অভিবাসন নীতিতে হোয়াইট হাউস আরও কঠোর হচ্ছে।
হামলার কয়েক দিন পর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি তৃতীয় বিশের দেশগুলো থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করতে চান। যদিও তিনি নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি এবং তৃতীয় বিশ্ব বলতে কী বোঝাচ্ছেন তাও ব্যাখ্যা করেননি। এর আগে, স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা দপ্তর জানায়, ট্রাম্প ১৯ দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন কার্ড এবং বাইডেন প্রশাসনের আমলে অনুমোদিত সব আশ্রয়-মামলা পুনঃপর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই ট্রাম্প অভিবাসন প্রয়োগে আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েন, যুক্তরাষ্ট-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়া এবং দ্রুত বহিষ্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।



