সংবাদ শিরোনাম
জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ আহত ২  » «   ইজতেমা মাঠে হামলা-হত্যা : সিলেটে কওমি মাদরাসা ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ  » «   সিলেটে নগরীর চালিবন্দরে স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু  » «   সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা  » «   মহান বিজয় দিবসে সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন  » «   সিলেট ব্যাটালিয়ন বিজিবি কর্তৃক ০১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার চোরাচালানী মালামাল আটক  » «   ১ কোটি দাবীর মধ্যে ২৫ লাখে মুক্তি পেলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ  » «   সিলেটে বেড়েছে কিশোর চক্র ঝাপটা পার্টি ও চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি: আতঙ্কে সাধারণ মানুষ  » «   সংস্কার ও নিত্যপণ্য সহনীয় করতে পারলেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে-মকসুদ হোসেন  » «   স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার গুম-খুনসহ সব অপকর্মের বিচার এ দেশেই হবে: কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন  » «   সিলেটে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ঘর দিল সেনাবাহিনী  » «   মিথ্যা অভিযোগে মামলা ও মানহানী করছেন মানব পাচারকারী আবুল হক-সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন  » «   ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে সিলেট মহানগর কৃষক দল  » «   গোয়াইঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: আপত্তি দিতে গেলে প্রাণে মারার হুুমকি  » «   সিলেটে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন  » «  

খাদ্যের জন্য মারামারি, নিহত শতাধিক

zzzzসিলেটপোস্টরিপোর্ট: বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার থেকে নৌকায় করে যেসব অবৈধ অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন, তারা যাত্রাপথে করুণ, রোমহর্ষক সব ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছেন।আচেহ থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, খাবার নিয়ে দাঙ্গা বেধে গেলে একটি নৌকাতেই অন্তত ১০০ লোক মারা যায়। তারা বলছেন, এদের কাউকে কাউকে ছুরি মেরে মারা হয়, কাউকে গলায় রশি পেঁচিয়ে মারা হয়। আবার কাউকে কাউকে নৌকা থেকে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি ক্যাম্পে আশ্রয় পাওয়া অবৈধ অভিবাসীদের মুখ থেকে এসব কথা জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি মোহাম্মদ রফিক। তিনি বলছিলেন, অন্তত ১০৪ জন লোক এভাবে মারা গেছেন। তিনি বলেছেন, “নৌকার ওপর আমাদের মারধর করা হয়েছে। মারধর সহ্য করতে না পেরে আমরা পানিতে ঝাপ দেই। এর মধ্যে যারা সাঁতার জানতো, তারা ভেসে ছিল। যারা জানতো না তারা পানিতে ডুবে মরে গেছে। ১০৪ জনের মতো মারা গেছে।”মোহাম্মাদ রফিক বলেন, “ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে তাদের আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। এই ঘটনাটা চলে রাত নয়টা পর্যন্ত। এরপর ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা পানিতে ভেসে ছিলাম। তারপর ইন্দোনেশিয়ার নেভি এবং জেলে যারা অনেক দূরে মাছ ধরতে যায়, তারা আমাদের তুলে নেয়।এদের অনেকে বলেছেন যে, কয়েকজনকে ছুরি মারা হয়েছে এবং কয়েকজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা কঠিন। কিন্তু অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম একই ঘটনার কথা যেভাবে রিপোর্টে করেছে, তার বর্ণনার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হাজার হাজার লোক থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার কাছাকাছি সমুদ্রে অনেক নৌকায় এখনো ভাসছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.