সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : ফিফার কমকর্তাদের সব দুর্নীতির কথা ফাঁস করে দিলেন সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ কমিটির সাবেক সদস্য চাক ব্লেজার। শুধু ২০১০ নয়, ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজকদের কাছ থেকেও তিনি ঘুষ নেন বলে স্বীকার করেছেন। এছাড়া ফিফার অন্যান্য ইভেন্টে অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঘুষ গ্রহণে তিনি সাহায্য করেছেন বলেও স্বীকার করলেন। ফিফার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সেপ ব্ল্যাটারের পদত্যাগের ঘোষণার ঠিক দু’দিন পরে নতুন এই তথ্য এলো। মূলত, এ তথ্য ফাঁস হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব নিউইয়র্কের একটি আদালতের শুনানির কপি থেকে। চেক ব্লেজার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ফিফার উত্তর ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ফিফার এক্সিকিউটিভ কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আর আঞ্চলিক ফুটবলের শীর্ষ কর্মকতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে ককেবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আর এমন অভিযোগেই তাকে নিউইয়ক আদালতে হাজির হতে হয়। ফিফার দুর্নীতি বিষয়ে ২০১৩ সালের মার্কিন ওই শুনানিরতেই তিনি এইসব কথা বলেন। আর সেই শুনানির ৪০ পৃষ্ঠার নথি সর্বশেষ প্রকাশ হয়েছে। ফিফার দুর্নীতিমূলক বিভিন্ন লেনদেনের বিস্তারিত এসব তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন বিচার বিভাগ । সাবেক ফিফা কর্মকর্তা চাক ব্লেজার জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং, আয়কর ফাঁকি সহ ১০টি অভিযোগ নিজেই স্বীকার করে নেন। ব্লেজারের ওই স্বীকারোক্তিতে বলেন, ‘২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আমি এবং ফিফার অন্যান্য এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা ঘুষ গ্রহণ করতে সম্মত হই। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বকাপের আয়োজক বানাতে আমরা ঘুষ গ্রহণ করি। ১৯৯৮ বিশ্বকাপেও এমন ঘটনা ঘটেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬, ১৯৯৮, ২০০২ ও ২০০৩ সালে গোল্ড কাপের টিভি সত্ত্ব ও দেয়ার আমারেও আমরা এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা ঘুষ গ্রহণ করি।’ ৭০ বছর বয়সী ব্লেজার এখন খুবই অসুস্থ। নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তার ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে।