সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটে টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়েপরিকল্পিতভাবে সিএনজি চালকের হাত ধরে পালিয়েছেন প্রবাসীর বধু ফারজানা আক্তার শিফা। শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শিপার ভাসুরের স্ত্রী সাচ্ছারুন নেছা। লিখিত বক্তব্যে সাচ্ছারুন নেছা জানান, তার দেবর সৌদী মজির উদ্দিন তালুকদার ২০০৪ সালে গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের আব্দুল মান্নানের মেয়ে ফারজানা আক্তার শিফাকে বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে আলী আকবর মাহী (৮) ও শাহী আকবর শাফী (৪) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি সৌদী থেকে মজির উদ্দিন পাঠানো ১লাখ ৪০ হাজার টাকা ৮ জুন পুবালী ব্যাংক চৌধুরীবাজার শাখা থেকে উত্তোলন করেন তার স্ত্রী শিফা। পরদিন (৯ জুন) সকালে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে একটি বড় সাইট ব্যাগ ও ছেলের বইয়ের ব্যাগ নিয়ে বের হন। ািকন্তু স্কুলে না গিয়ে পূর্ব পরিকল্পিনা মোতাবেক সিএনজি অটোরিক্সাচালক খালেদ আহমদের সাথে পালিয়ে যান তিনি । বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিপার পিতাসহ বাড়ির লোকজন তার বসত ঘরের আলমিরা তল্লাশি করে উত্তোলিত টাকাসহ নগদ ৫লাখ টাকা এবং প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার কোনকিছুই পাওয়া যায়নি। খোজ নিতে গিয়ে সিএনজি অটোরিক্সার মালিকের কাছে খালেদের খবর জানতে চাওয়া হলে ওই ব্যক্তি জানান, খালেদ ৯ জুন গাড়ি চালাবে না বলে আগেই তাকে জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেরনে আরো জানানো হয়, শিফা ৯জুন পালিয়ে গিয়ে সিলেটের নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিড করে স্বামীকে তালাক ও খালেদকে বিয়ে করার ঘোষনা দেয়। পরে গাজিপুরে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় কাবিননামা রেজিষ্ট্রি করে খালেদকে বিয়ে করে। পরে তার পিতা তাকে পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করেন। এসময়ও সে খালেদের সাথে থাকতে চাইলে পরে পুলিশ খালেদকে গ্রেফতার ও শিফাকে উদ্ধারের করে পিতার নিয়ন্ত্রনে দিয়ে দেয়। পরে চাপের মূখে পিতার শেখানো বুলি মতে শিফা আদালতে ২২ধারায় জবানবন্দী দেয়। ঘটনার অনেক আগে থেকেও সিএনজি চালক খালেদের সাথে শিফার সম্পর্ক চলে আসছিল ছিল। আর এ সম্পর্কের টানেই শিফা খালেদের সাথে পালিয়ে যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, খালেদের সিএনজি অটোরিক্সা করে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া কালে খালেদের সাথে নিবিড় সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয়রা দেখেন ও তার ভাসুর মনু মিয়াকেও বলেন। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন ভাসুর মনু মিয়া। সংবাদ সম্মেলনে সাইচ্চারুন নেছা শিফার পিতা আবাদুল মন্নানের মামলা আদালতে দেয়া শিফার জবানবন্দী ও তার পুত্র নাজিমের বিরুদ্ধে টাকা গ্রহনের অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যাচার বলে আখ্যায়িত করা হয় । মেয়েকে স্বামীর ঘরে পুনর্বাসনসহ তার অপকর্ম ডাকতে গিয়ে আব্দুল মন্নান এ মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন এবং নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে টাকা গ্রহনের মিথ্যে অভিযোগ করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন এরাকারবিশিষ্ট মুরব্বি আত্তর আলী, মনু মিয়া, ফখরুল ইসলাম, রাজু মিয়া, খসরু আহমেদ, বাবুল মিয়া, মিনার আলী, সাহাব উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন প্রমূখ।