সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্রলীগকর্মী আবদুল আলী হত্যাকান্ডে ঘটনায় গ্রেফতারকৃত প্রধান হোতা প্রণজিৎ দাশ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিযেছে। শনিবার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-৩ এর বিচারক আনোয়ারুল হকের আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।আলী হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন প্রণজিতকে আদালতে হাজির করেন। স্বীকারোক্তি শেষে প্রণজিৎকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ প্রণজিতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এদিকে আলী হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি শনিবার সকালে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুড়িখাল ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এমএম-৩ আদালতে জিআর দুর্গা কুমার দাশ বলেন, প্রণজিৎ তারস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি আলীকে ছুরিকাঘাত করেছেন। তার মাথা গরম হওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি চিন্তা করেন নাই এই ছুরিকাঘাতে আলী মারা যাবে।তিনি আরো বলেন, এমএম তৃতীয় আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আলী হত্যা মামলার আসামি প্রণজিৎ’র স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন।সিলেট কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ জানান, গ্রেফতারকৃত প্রণজিৎ দাশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই এলাকাতেই প্রণজিতের বাড়ি।প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে সিলেট মদন মোহন কলেজ ক্যাম্পাসে আগের দিনের বিরোধের জের ধরে আবদুল আলীকে প্রণজিৎ দাশের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে ছুরিকাঘাত করে। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর আলীর মৃত্যু হয়।ওইদিন বিকেলেই প্রণজিৎকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জের দোযারাবাজার থেকে আঙুর মিয়া নামক আরেক হোতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।বৃহস্পতিবার প্রণজিতকে ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। অন্যদিকে শুক্রবার আঙুরকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ছাত্রলীগকর্মী হত্যা: প্রণজিতের স্বীকারোক্তি
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: আগষ্ট ১৫, ২০১৫ | ৯:১১ অপরাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »