সিলেট, ১০ ফেব্রুয়ারি: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে । ভুল চিকিৎসা এবং এবং গাফিলতির কারণেই এসব মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। ৩২ জন মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করে এটাকে ‘স্বাভাবিক’ মৃত্যু বলে দাবি করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে কোনো রোগী মারা যায়নি। মন্ত্রী বলেন, তবে প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিবকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু ছাড়াও যে ২২ ব্যক্তি মারা গেছে তারা কেউ ভুল চিকিৎসায় মারা যাননি।
এর আগে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা, দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। তিনি বলেছেন, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ১০ জন শিশু এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দুর্ঘটনাজনিত এবং একটি মারামারির ঘটনায় বাকি ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আমরা ওসমানী মেডিকেলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।
তবে ভুল চিকিৎসায় এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। অপরদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির সদ্যস্যরা হচ্ছেন, হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটোয়ারী, শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মনজ্জির আলী ও আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ডা. রঞ্জন কুমার রায়।