নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেটপোস্ট২৪ডটকম : নিখোঁজের ৩ দিন পর সিলেট নগরীর মালনীছড়া ও সুরমা নদীতে ভেসে উঠলো স্কুল ছাত্রসহ ২ জনের লাশ। সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর জালালাবাদ এলাকায় মালনীছড়া থেকে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রের ও ১১টায় নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় সুরমা নদী থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের চরগাঁও গ্রামের শামসুল হকের ছেলে দর্শনদেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র বাবুল মিয়া (১১) নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সকল স্থানে তাকে খোঁজাখুজির পরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত রোববার তার স্বজনরা বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। গতকাল সোমবার নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার আবদুল গফুর স্কুল সংলগ্ন মালনীছড়ায় লাশ ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ব্রিজের নিচে পুলিশ ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে বাবুলের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার ওসি গৌসুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ছড়ার পানিতে ডুবে স্কুল ছাত্র বাবুল মিয়ার মুত্যু হয়েছে।
এদিকে নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর গোলাপগঞ্জের জালালনগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইজ্জাত আলীর ছেলে আবদুল মুছব্বিরের (৬০) গলিত লাশ সুরমা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১১টার দিকে কাজিরবাজার সেতুর নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
নিহত আবদুল মছব্বির মানসিক রোগী ছিলেন উল্লেখ করে তার ছোট ভাই লিয়াকত আলী বলেন, ৩ দিন আগে রাতে তার সাথে বাজার থেকে ফেরার পথে সুরমা নদীতে ঝাঁপ দেন মুছব্বির। পরে অনেক খোজাঁখোজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সফিক জানান, আবদুল মুছব্বির নিখোঁজের পর তার ভাই গত রোববার রাতে থানায় ডিজি করেন। জিডিতে নৌকা থেকে সুরমা নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান, লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে আত্মীয়-স্বজনে কাছে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।