ডেস্ক রিপোর্ট, সিলেটপোস্ট২৪ডটকম : সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আধুনিক স্যানেটারি ল্যান্ডফিল তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। ফলে দক্ষিণ সুরমার লালমাটিয়া সিসিকের বর্জ্য ফেলার স্থানের দৃশ্য কিছুদিনের মধ্যেই পাল্টে যাবে। দুর্গন্ধমুক্ত ও বায়ু দূষনবিহীন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি)র অর্থায়নে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে ল্যান্ডফিল। ফলে সিসিকের ব্যবস্থাপনা আধুনিক রূপ পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরবান পাবলিক এন্ড এনভায়রমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলাপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় সিলেটের এই স্যানেটারী ল্যান্ডফিল নির্মানের লক্ষ্যে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছেন স্যানেটারী ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট মি. মার্টিন ফিলগ্রীণ। দক্ষিণ সুরমার ডাম্পিং গ্রাউন্ড ছাড়াও তিনি নগরীর টিলাগড়, কাজীটুলা ও রিকাবীবাজারে নির্মাণাধীন সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশনও পরিদর্শণ করেন।
এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, সিসিকের বর্জ্য ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে আধুনিকায়ন করা এখন সময়ের দাবি। এডিবি’র অর্থায়নে এই প্রজেক্টটি বাস্তবায়িত হলে বর্জ্যরে কারণে পরিবেশ দূষনও হবে না। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে একটি সময়োপোযোগী পদক্ষেপ। চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শুরু হওয়ার পর ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, এ প্রজেক্টের আওতায় ইতোমধ্যে নগরীতে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন নির্মানকাজ চলছে। পাশাপাশি স্যানেটারি ল্যান্ডফিল নির্মানের জন্য ইতোমধ্যে সয়েল টেস্ট ও সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। ডিজাইনও প্রায় চূড়ান্ত। খুব শীঘ্রই টেন্ডার দেওয়া হবে।