সংবাদ শিরোনাম
নবীগঞ্জে ৬ বছরে শিশুকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ! ধর্ষনকারী আনহারকে আটক   » «   ফ্যাসিস্ট ডামি সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে :কাইয়ুম চৌধুরী  » «   বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার উদ্যোগে ইফতার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল  » «   সিলেটে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলের হাতে বাবা খুন  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার  » «   নবীগঞ্জে ভুল অপারেশন করে শিশুর লিঙ্গ কর্তন-কেয়ার ডায়াগনস্টিক ঘেরাও  » «   সিলেটের উপশহরে মামার হাতে বাগিনা খুন  » «   ব্রাদার ইসরাইল আলী সাদেক জামিন নিতে এসে গ্রেপ্তার  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারায়বাজারে ভারতীয় চিনিসহ আটক- ৪ জন  » «   প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে দেশীয় সংস্কৃতি লালন করতে হবে  -জেলা প্রশাসক  » «   শান্তিগঞ্জের কান্দিগাঁও গ্রামে বাচ্চাদের ঝগড়া নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় দুই ছাত্রীসহ ৩জন আহত  » «   বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী : প্রতিমন্ত্রী শফিক চৌধুরী  » «   রমজান উপলক্ষে জুলকার নায়েন ফাউন্ডেশন দোয়ার বই ও খেজুর বিতরণ  » «   ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটি  » «   মাদানী ইস্যুকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা ভাংচুর, আটক ৫; পুলিশের ২৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি  » «  

আমাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠী

0009সিলেটপোস্ট টোয়েন্টিফোর .কম ডেস্ক : আদিবাসীরা পরিচিত হয় রাষ্ট্রের মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন নামে। কিন্তু মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও তারা অদ্ভুত সরল জীবনযাপন করে যায়। প্রতিটি আদিবাসী গোত্রের জীবনযাত্রাই যেন ছবির মত অপূর্ব। শত অভাব-অনটন, প্রতিকূলতার মাঝেও এই মানুষগুলোর সারল্য আজও পবিত্র সেই আগের মতই।

আদিবাসীদের জীবনধারা স্বভাবতই আলাদা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসীগোষ্ঠী হলো চাকমা। তাদের রাজা হন সমাজের প্রধান ব্যক্তি। চাকমারা তাদের গ্রামকে আদাম বলে, গ্রামপ্রধানকে বলে কার্বারী। বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এই গোত্রের বর্ণিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি হলো বিজু। বিজুর দিনে চাকমাদের ঘরে ঘরে পাঁচন তৈরি হয়, যা পাঁচ রকমের সব্জির মিশেলে একটি বিশেষ পদ। চাকমা মেয়েরা বিজুর দিনে পানিতে ফুল ভাসিয়ে দিয়ে আচার পালন করে থাকে।

সাঁওতালরা এদেশের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী গোত্র। তারা যে এলাকায় বসবাস করে সেটিকে দেশ বলে। নিজেদের প্রধানকে তারা বলে দেশপ্রধান। তাদের প্রধান উৎসব সোহরাই। এই মানুষগুলো কথা বলে সাঁওতালী ভাষায় যার কোন লিখিত বর্ণমালা নেই।

ত্রিপুরা হলো আরেকটি আদিবাসীগোষ্ঠী যারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। বৈসুক তাদের মূল উৎসব। এছাড়া কের, কাথারক, গোমতী পূজা, খাচী পূজা, চুমলাই ইত্যাদি নামক আরো কিছু উৎসব তারা পালন করে থাকে। এই গোত্রের লোকেরা কথা বলে কক-বরক ভাষায়।

মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর অন্য একটি আদিবাসী গোত্র হচ্ছে রাখাইন। রাখাইনদের আদি নিবাস ছিলো আরাকান(মিয়ানমার)। তাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধপূর্ণিমা। জলকেলি উৎসবও রাখাইনরা সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। এই গোত্রের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি সাংগ্রাই নামে পরিচিত। সাংগ্রাইয়ের দিনে রাখাইনরা ফুল তোলে। যে যতো বেশি ফুল দিয়ে বুদ্ধের অর্চনা করবে তার ততো বেশি পূণ্য হবে, এমনটিই তাদের বিশ্বাস। আদিবাসীদের বর্ষবরণ উৎসবটি সামগ্রিকভাবে বৈসাবি উৎসব নামে অভিহিত হয় যা বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজুর সংক্ষিপ্ত রূপ।

এই আদিবাসী গোত্রগুলো ছাড়াও এদেশে আরো অনেক আদিবাসীগোষ্ঠী রয়েছে। মনিপুরী, গারো, খিয়াং গোত্র তাদের মাঝে অন্যতম। ইসলাম ধর্মাবলম্বী পাঙনরাও আছে আদিবাসীদের প্রতিনিধি হয়ে।

পার্বত্য অঞ্চলের এই সহজসরল মানুষগুলো নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও নিজেদের স্বতন্ত্র জীবনধারা বজায় রেখেছে। প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে থাকে অথচ তবুও মানুষগুলোর মুখের হাসি অমলিন। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা তাই সবার কাছেই অন্যরকম আকর্ষণ তৈরি করে।

আইএস

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.