সিলেটপোস্টরিপোর্ট: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাস্থ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শাখা থেকে এক গ্রাহকের সাড়ে আট লাখ টাকা উধাও হয়ে গেছে। ব্যাংকের ওই শাখার প্রাক্তন এক ব্যবস্থাপক ও ক্যাশিয়ারের যোগসাজশেই ওই টাকা উধাও হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানায় তারা। এ দিকে টাকা উধাওয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যাংকের বিশ্বনাথ শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক হোসেইন আহমদ পাপ্পু ও ক্যাশিয়ার সালাহ উদ্দিনকে ইতিমধ্যে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের গ্রাহক ও বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের আল-হেরা শপিং সিটির অপরূপা ফ্যাশনের পরিচালক রাসেল আহমদ গত বছরের ২৩ নভেম্বর পাঁচ লাখ টাকা, ২৪ ডিসেম্বর সাড়ে তিন লাখ টাকা করে মোট সাড়ে আট লাখ টাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখায় তার হিসাব নম্বরে জমা রাখেন। কিন্তু রাসেল টাকা জমা রাখলেও সেই টাকা কৌশলে তার মূল হিসাবের সঙ্গে জমা করেননি ওই সময় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা হোসেইন আহমদ পাপ্পু ও ক্যাশিয়ার সালাহ উদ্দিন।
গত ৫ মে রাসেল নিজের হিসাব থেকে টাকা তুলতে গিয়ে কোনো টাকা নেই দেখে অবাক হন। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ধরা পড়ে টাকা গায়েব করে দেওয়ার কাহিনি। কর্মকর্তাদের পরামর্শে রাসেল বিষয়টি লিখিত আকারে অভিযোগ হিসেবে জমা দেন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিনই তৎকালীন বিশ্বনাথ শাখার ব্যবস্থাপক, বর্তমানে সিলেটের বিয়ানীবাজার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক হোসেইন আহমদ পাপ্পু এবং বিশ্বনাথ শাখার ক্যাশিয়ার সালাহ উদ্দিনকে ক্লোজড করা হয়।
কর্মকর্তাদের ক্লোজড করা হলেও এখনো নিজের টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ করেছেন রাসেল আহমদ। তবে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রাসেল আহমদ অবশ্যই তার টাকা ফেরত পাবেন। তবে কিছুটা সময় লাগবে। বিশ্বনাথ শাখার বর্তমান ব্যবস্থাপক সুজিত চন্দ্র দাশ বলেন, ‘কিছু সমস্যা আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রাহক তার টাকা পেয়ে যাবেন। তবে কিছুটা সময় তো লাগবেই।’ বিশ্বনাথ শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক ও ক্যাশিয়ারকে ক্লোজড করার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেছেন।