সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : বাঘা উপজেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে মৌসুমী ফল লিচু উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার আড়ানী, বাঘা, বাউসা, পাকুড়িয়া, গড়গড়ি, রুস্তমপুর, চন্ডিপুর, মনিগ্রামসহ বিভিন্ন বাজারে লিচু আমদানী হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে মৌসুমী ফল লিচু। লিচু বাজারে আসলেও দাম অনেক বেশি। সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ১০০ লিচু ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লিচু ব্যবসায়ী আবদুল সামাদ জানান, এলাকায় উৎপাদন কম, এছাড়া লেবার খরচ বেশি, তাই দামটাও একটু বেশি। পুরোপুরি লিচু গাছ থেকে নামানো শুরু হয়নি। এছাড়া বৃষ্টি হলে দাম কিছুটা কমে যাবে। উল্লেখ্য সময় মতো বৃষ্টি হলেও কয়েক দফা শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীতে লিচুর গুটি ঝড়ে পড়ে। তবে মুকল আসার পরপর কিছু বৃষ্টি হওয়ায় গুটি আটকিয়েও যায়। কিন্তু গুটি বড় হওয়ার পরেও কিছু ঝরে যায়। তারপরও বাম্পার ফলন হয়েছে। মুকুল আসার আগে থেকে সেচ দেয়া, কীটনাশক ¯েপ্র করা, বাগানে পরিচর্যা করে চাষীরা। তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, ৭১ শতাংশ জমির উপর ১০ থেকে ১২ বছর আগে ৩২টি লিচু গাছ রোপন করা হয়। ওই বাগানের প্রায় গাছে লিচু এসেছে। অনেক কষ্ট করে ¯েপ্র করে গুটি ঝরা থেকে রক্ষা করা হয়। ফলনও ভাল হয়েছে। এবছর বিক্রি করা হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। লিচু চাষী সেকেন্দার রহমান জানান, দেড় বিঘা জমিতে ২০টি লিছু গাছ আছে। কিন্তু প্রায় ১৫ দিন থেকে গুটি কালো হয়ে ঝড়ে যাচ্ছে। ওই গুটি ঝরা থেকে রক্ষা করা যাচ্ছেনা। গুটি ঝরার কারণও সটিকভাবে নির্নয় করতে পারছিনা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ১৭ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম জানান, অতিতাপমাত্রার কারনে বোটা শুকিয়ে ঝরতে পারে। চাষীদের সময় মতো পরিচর্যার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় তুলনামূলক দাম বেশি। তবে বাম্পার ফলন হয়েছে।