সিলেটপোস্টরিপোর্ট:নগরীর সুরমা মার্কেটের সামনে থেকে অপহরণকালে ৩ জনকে আটক করেছে পুলির্শ আজ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকৃত যুবক হাসনাত হোসেন (২৪), পিতা আবুল বাশার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঘুরদেউ, সে বতর্মানে নগরীর শাহী ঈদগাহ ৩১ নং বাসার বাসিন্দা। প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরীর সুরমা মার্কেট এলাকায় দুপুর দেড়টার দিকে মাইক্রোবাস যোগ দু’জন অপহরণকারী হাসনাত হোসেন (২৪) নামের এক যুবকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলতে চেষ্টা করে। এসময় যুবকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে অপহরণীকারী জনতার হাতে ধরা পরে। মাইক্রোবাসের নাম্বার সিলেট-চ-১১-০৫৮১।আটককৃতরা হলেন- আয়াফাত খান (২৫)। সে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার গবিনপাটিত এলাকার বাসিন্দা মৃত মতিন খানের ছেলে। অপরজন হলেন- মীর মো. খায়রুল ইসলাম তুহিন (২৭)। সে বালাগঞ্জ উপজেলার বশির পুর গ্রামের মীরবাড়ির বাসিন্দা মীর মোহাম্মদের ছেলে। জানা গেছে, আয়াফাত খান ও মীর মো. খায়রুল মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ার কথা বলে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। পরে তারা মৌলভীবাজারে উদ্দেশ্যে যাত্রাও করে। এক পর্যায়ে সুরমা মার্কেটের সামনে গিয়ে তারা ওই মাইক্রোবাসের চালক আব্দুল কাদিরকে গাড়ি থামানোর জন্য বলে। পরে চালককে গাড়িতে রেখে তারা সুরমা মার্কেটে যান। সেখান থেকে আবুল হাসনাত কবি নামের এক পাথর ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা চেষ্টা করেন তার। পরে জনতা তাদের ধাওয়া দিলে মাকের্টের সামনে রাখা মাইক্রোবাসে উঠে পড়েন। তখন সেখান থেকে জনতা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঘুরদেউ গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসনাতের ছোট ভাই আবুল বরাকাত জানান, তার ভাই পাথর ব্যবসা করেন। তিনি নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। তিনি দুপুরে সুরমা মাকের্টে ব্যক্তিগত কাজে আসলে খায়রুল ও আয়াফাত নামের দুই যুবক তাকে নিয়ে যেতে চায়। পরে জনতা তকে উদ্ধার করে।তিনি আরো বলেন, নগরীর চন্দনটুলা এলাকার বাসিন্দা আলমঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের কাছে ৮০ হাজার টাকা পান। আলমঙ্গীর তাই ভাইকে অপহরণ করতে পারেন বলে ধারণা করছেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপহরণকারীদের ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে গেছে বলে জানান।
সুরমা মার্কেট এলাকায় অপহরণের ঘটনায় আটক ৩
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: মে ১৯, ২০১৫ | ৬:১৫ অপরাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »