সিলেটপোস্ট রিপোর্ট: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এলাকায় অপহরণ, হত্যা নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ রয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট এলাকায় ট্রাইব্যুনাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, বুধবার সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে দুই আসামিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়েছে। রায় ঘোষণা শুরুর আগে মাহিদুর ও আফসারকে রাখা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সকাল ১০টার পর এ মামলার রায় ঘোষণা করবে। রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আদালত এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক সালাম। তবে যুদ্ধাপরাধ মামলার আগের রায়গুলোর মতো নিরাপত্তার ব্যাপক কড়াকড়ি এদিন সকালে দেখা যায়নি। কোনো সড়কে পুলিশ ব্যারিকেডও বসায়নি।
২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়ন থেকে মাহিদুর এবং বিনোদপুর থেকে আফসারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছর ১১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাদের বিচার শুরু হয়। তদন্ত সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দুজন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন।
সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষ করার পর অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক গুলি সংগ্রহ করে অন্যান্য রাজাকারের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আদিনা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ দখল করে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করে এলাকায় হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান।