সিলেটপোষ্টরিপোর্ট:আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরি উস্তাযুল মুহাদ্দিসীন, মুরশিদে বরহক হযরত আল্লামা ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, কুরআন হিফয একটি বড় সম্পদ, দুনিয়ার সম্পদ চুরির ভয় আছে, কিন্তু এ সম্পদ চুরির ভয় নেই। তবে এ ক্ষেত্রে শয়তান প্ররোচনা দিতে পারে। শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। যাদের মধ্যে সহীহ কুরআন আছে, কুরআনের প্রতি আমল আছে দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। সঠিক আকীদা, সুন্নতের অনুসরণ এবং হুবেক্ষ রাসূল হলো অতুলনীয় সম্পদ। এ সম্পদকে রক্ষা করতে হবে। হাফিযে কুরআনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে চোখ দিয়ে পাক কালাম নয়ন ভরে দেখেছেন সে চোখের অপব্যবহার করবেন না। যে হাত দিয়ে পবিত্র কুরআনের পাতা উল্টিয়েছেন সে হাতকে মন্দ থেকে হেফাযত করবেন। কুরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ হলো এমন পরিবেশ যা ফেরেশতারা বেষ্টন করে রাখে। কর্মজীবনে এ পরিবেশের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন। মা-বাবা ও উস্তাদের জন্য দু’আ করবেন। যারা হাফিযে কুরআন ও সহীহ আমলের অধিকারী কিয়ামতের দিন তারা আলাদা মর্যাদা লাভ করবেন। তিনি আজ ফুলতলী ছাহেব বাড়িতে ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও মুখপত্র ‘বাগে ইয়াকুবী’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা নজমুল হুদা খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন হযরত আল্লামা মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী, জালালিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জ.উ.ম আব্দুল মুনঈম, বাগে ইয়াকুবীর সম্পাদক মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব ক্বিবলাহর সুযোগ্য ছাহেবজাদা মাওলানা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারী হাফিয মাওলানা ফখরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা হাসান চৌধুরী গিলমান, সিলেট আল কুরআন মেমোরাইজিং সেন্টার এর প্রিন্সিপাল মাওলানা ইমরান উদ্দীন চৌধুরী, স্কুল অব এক্সেলেন্স এর শিক্ষক মাওলানা জালাল উদ্দিন, দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্টের অফিস প্রধান মাওলানা জিল্লুর রহমান, ইয়াকুবিয়া হিফযুল কুরআন বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ হাফিয আশিকুর রহমান, ইয়াকুবিয়া বোর্ডের জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফিয ফারুক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিয মাওলানা আব্দুর রহমান, বিয়ানীবাজার উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হাফিয মাওলানা তাজুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সভাপতি হাফিজ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাফিয আব্দুশ শহিদ, সিলেট সদর উপজেলা সভাপতি হাফিয ফিরোজ আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্চ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোঃ সেলিম, বিশ^নাথ উত্তর উপজেলা সভাপতি হাফিয আব্দুল কাদির, বিশ^নাথ দক্ষিণ উপজেলা কোষাধ্যক্ষ হাফিজ আব্দুল কারিদ, দোয়ারা উপজেলা সভাপতি হাফিয মোঃ বুরহান উদ্দিন, ছাতক উত্তর উপজেলা সভাপতি হাফিয মোঃ ফখরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাফিয মোঃ সাইফুল আলম, ছাতক দক্ষিণ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিয মোঃ এনাম উদ্দিন, জগন্নাথপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিয মোঃ নুরুল হক, মৌলভী বাজার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিয মোঃ আব্দুর রশিদ, রাজনগর উপজেলা সভাপতি হাফিয মাওলানা কাওছার আহমদ, বড়লেখা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিয কয়েছ আহমদ, কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি হাফিয মাওঃ আব্দুল ওয়াহাব, নবীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফিয মুজিবুর রহমান, সিলেট পূর্ব জেলা তালামীযের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান আহমদ চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত।
উল্লেখ্য বোর্ডের অধীনে হিফজ সমাপনকারী হাফিজগণকে পাগড়ি প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১২’শ হাফিজ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি