সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : রাজধানীতে মাইক্রোবাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ নিয়ে বাংলাদেশজুড়ে সমালোচনার মধ্যে গাজীপুরে এক নারী ট্রাকে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তবে ওই নারীকে প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি জানিয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, আরও পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
জয়রেদবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা সিলে্ট পোষ্টকে বলেন, তারা খবর শুনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
ওই নারী ও তার স্বামী বর্তমানে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এই দম্পতির সঙ্গে থাকা একটি পরিচয়পত্রে ঢাকার তিলপাপাড়ার ঠিকানা লেখা রয়েছে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা লেখা আছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ।
ওই নারী সাংবাদিকদের বলেছেন, শনিবার রাতে তিনি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় চিকিৎসক দেখিয়ে স্বামীর সঙ্গে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক ট্রাকচালক তাদের পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
ওই ট্রাকে চড়ার পর চালক তাদের কোমল পানীয় ফান্টা খেতে দিয়েছিল বলে জানান ওই নারী। তা খাওয়ার পর থেকে ঘুম ঘুম লাগতে থাকে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, চালকের কথায় তার স্বামী পেছনে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখন ট্রাক থামিয়ে চালক অস্ত্রের মুখে তার মুখ বেঁধে গাড়িতে তাকে ধর্ষণ করেন এবং সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।
এরপর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় এই দম্পতিকে নামিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা রোববার সকালে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুস সালাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, রোববার দুপুর পর্যন্ত এই দম্পতির নেশাভাব কাটেনি। তারা একেকবার একেক কথা বলছে।
“ওই নারী ধর্ষণের শিকার বলে দাবি করলেও প্রাথমিকভাবে তার আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তার গায়ের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”
ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ জোবায়দা আক্তার লাকির সহায়তায় ওই নারীর কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে ডা. সালাম জানান।
“পরীক্ষার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এর আগে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না,” বলেন তিনি।
তিনি জানান, ওই নারীর স্বামীর পকেট থেকে ২০০৭ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইস্যু করা একটি রিকশা/ভ্যান চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং একই নামে ইস্যু করা ঢাকার মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের ভিশন এ্যাপারেলস প্রাইভেট লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় ‘আয়রন ম্যান’র পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।