সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় সাংবাদিকপুত্রের অঙ্গহানির (আঙ্গুল কর্তন) ঘটনায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করেছে। আজ সকাল ১১টায় কলেজ কনফারেন্স হলে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ও অভিযুক্তদের জবানবন্দি নেয়। তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন কমিটির অপর সদস্য সিলেট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. জাকারিয়া মাহমুদ। তদন্তকাজে সহযোগিতা করেন সিলেট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মনিকা বিশ্বাস ও ডা. শিবানী দত্ত। তদন্ত কমিটি অভিযোগকারী এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রশাসন) শামীমা স্বাধীনের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন। ২ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে শামীমা স্বাধীন ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। এ সময় তিনি ২টি সিডিসহ ১৩৭ পৃষ্ঠার প্রমানপত্র তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। তদন্তকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অঙ্গহানির শিকার শিশু সাফি, তার পিতা সিলেট টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবর, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশর সিলেট সিটি অঞ্চলের সভাপতি শিরিন আক্তার, সদস্য রোকসানা বেগম, উপ পরিচালক (সিলেট) মো. ইসমাইল হোসেন, উপ প্রশাসন (পরিচালক) মুমিনুর রহমান জনি, জালালাবাদ থানা কমিটি সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক শামস উদ্দিন শামীম, সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক, সাংবাদিক আমিন তাহমিন, কিবরিয়া আহমদ প্রমুখ। পরে তদন্ত কমিটির সামনে সিলেট উইমেন্স হাসপাতালের চিকিৎসায় অবহেলাকারী ডাক্তারসহ অন্যরা জবানবন্দি দেন। উল্লেখ্য, সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবরের ছেলে সাফির অঙ্গহানির ঘটনায় এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক স্মারক নং ০৫.৬০.৯১০০.০১০.৫৫.০০৪.১৪.২২০ এর মাধ্যমে ঘটনা তদন্তে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উল্লেখ্য গত ১৮ জানুয়ারি টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের সিলেট অফিসের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের ৮ বছরের শিশুপুত্র সাফি দরজার হোজবেল্টে আঘাত পায়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আঙ্গুলে ‘গ্যাংগ্রিন’ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও সিলেটের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাফির ডানহাতের তর্জনী কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
সাংবাদিকপুত্রের অঙ্গহানির ঘটনায় উইমেন্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে আজ!
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: মে ২৫, ২০১৫ | ১০:৩২ অপরাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »