সংবাদ শিরোনাম
৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  » «   ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-কয়েস লোদী  » «   ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানালেন কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ক্রীড়াঙ্গন নতুন করে গড়ে তোলার এখনই সময়: মোমিনুল ইসলাম মোমিন  » «   শিক্ষক জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর-জেলা প্রশাসক  » «   পদত্যাগ করার পর যে সব কথা বললেন নাহিদ  » «   জগন্নাথপুরে ভূমিখেকো আ. লীগের সাথে ছাত্রদল নেতা মিলিত হয়ে কৃষক পরিবারকে মারধর ও হয়রানি  » «   ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটি  » «   বড়লেখায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই  » «   প্রত্যাশাকে হতাশায় পরিণত করা যাবে না-মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  » «  

১৫০ দিন কারান্তরীন রাখার পর আজ মেয়র জি কে গউছকে প্রকাশ্য কোর্টে আনা হয়েছে

G-K-Gouse-1নিজস্ব প্রতিবেদক :এক নাগাড়ে ১৫০ দিন কারান্তরীন রাখার পর আজ মঙ্গলবার প্রকাশ্য কোর্টে আনা হচ্ছে হবিগঞ্জ পৌরসভার একাধিকবার নির্বাচিত মেয়র ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছকে। যে মামলায় তাকে কারান্তরীন রাখা হয়েছে সে মামলায় অন্তত ইতিমধ্যে নিয়মিত ৮টি তারিখ অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোনো তারিখেই তাকে প্রকাশ্য আদালতে হাজির করা হয়নি। উপরুন্ত যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই দুই মেয়াদে ৩৩ দিন আলহাজ্ব জি কে গউছকে মৌলভীবাজার কারাগারে অন্তরীন রাখা হয়।
আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী। আলহাজ্ব জি কে গউছ ২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারী হতে ৯ ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত ৩৩ দিন তার বৃদ্ধ পিতাকে নিয়ে সৌদী আরবে হজ্জ পালনে ছিলেন। কিবরিয়া হত্যা মামলার পর একই বছরের ১৯ মার্চ তারিখে ১০জনকে আসামী করে ১ম চার্জশীট দাখিল করা হয়। বাদী পক্ষের নারাজীর প্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন স্থগিত থাকে। দীর্ঘ মেয়াদী তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নির্দেশে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আওয়ামীলীগের আমলে ২০১১ সনের ২০ জুন তারিখে পূর্বের ১০জনের অতিরিক্ত আরও ১৬ জনসহ মোট ২৬ জনকে আসামী করে সম্পুরক চার্জশী দাখিল করেন।
তৃতীয় দফা চার্জশীট দাখিল করা হয় ২০১৪ সনের ১২ নভেম্বর তারিখে। এ পর্যায়ে ২৪ জনের বাহিরে আরও ১১জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৩৫ জনকে আসামী করে ভুলে ভরা ৩য় চার্জশীট দাখিল করা হয়। ৩৫ জনের মধ্যে ২ জনের সঠিক নাম ঠিকানাই পাওয়া যায়নি। ১জন ভারতে মারা যান। ৩য় চার্জশীটে আলহাজ্ব জি কে গউছকে সম্পৃক্ত করা হয়। সেই চার্জশীটটি ভুলে ভরা হওয়ায় ৪র্থ এবং পরবর্তীতে ৫ম সম্পুরক চার্জশীট দাখিল করা হয়। চার্জশীট গৃহীত হলে কাল বিলম্ব না করে ২০১৪ সনের ২৮ ডিসেম্বর তারিখে স্বেচ্ছায় আত্বসমর্পন করেন আলহাজ্জ জি কে গউছ। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৫ সনের ৮ জানুয়ারী, ২৫ জানুয়ারী, ১০ ফেব্র“য়ারী, ২৬ ফেব্র“য়ারী, ১৮ মার্চ, ৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ১৫ মে মামলার তারিখ ছিল। কোনো তারিখেই আলহাজ্জ জি কে গউছকে কোর্টে উপস্থাপন করা হয়নি। তবে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই ১০ ফেব্র“য়ারী হতে ১৬ ফেব্র“য়ারী এবং ১৮ ফেব্র“য়ারী হতে ১৫ মার্চ মোট ৩৩দিন আলহাজ্জ জি কে গউছকে মৌলভীবাজার কারাগারে অন্তরীন করে রাখা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা ঘটনায় একই সাথে একটি হত্যা মামলা এবং অন্যটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন বিস্ফোরক মামলার কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বিস্ফোরক মামলাটিও পুনরুজ্জীবিত করা হল। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা এডভোকেট সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনজুর উদ্দিন শাহিন জানান- বিস্ফোরক মামলায় আলহাজ্ব জি কে গউছসহ কারাগারে বন্দী অন্যান্য আসামীদেরকে শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত আসামীদের উপস্থিতিতে এ ব্যাপারে শুনানী গ্রহনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। আজ মঙ্গলবার আলহাজ্ব জি কে গউছের উপস্থিতিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে বিস্ফোরক মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘদিন কারাগারে বন্দী আলহাজ্ব জি কে গউছের ব্যাপারে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও রিচি ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া মোঃ ইলিয়াছ বলেন- এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আলহাজ্ব জি কে গউছের জনপ্রিয়তাকে সরকার ভয় পায়। জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যই ১৫০দিন তাকে সাধারণ মানুষের চক্ষুর অন্তরালে রাখা হয়েছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আলহাজ্ব জি কে গউছ হবিগঞ্জ পৌরবাসীর সেবায় আবারও নিয়োজিত হবেন বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.