সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে আদিবাসী গারো তরুণীকে দুর্বত্তরা ধর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
দুই ধর্ষককে আটকের পর বুধবার (২৭ মে) দুপুরে র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুফতি মাহমুদ খান।
২১ মে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে থেকে বাসের জন্য অপেক্ষারত এক গারো তরুণীকে চলন্ত মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বত্তরা।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, ধর্ষণের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। আটক ধর্ষক আশরাফ খান ওরফে তুষার গত ১৭ মে দুই বিদেশি ক্রেতাকে নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের টেক্স মার্ট শো-রুমে কেনাকাটা করতে যান।
এ সময় ধর্ষণের শিকার ওই গারো তরুণীর সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তুষার ওই তরুণীকে জানান যে, তিনি সিগমাত বায়িং হাউজে চাকরি করেন।
মেয়েটি জানতে চান, সেখানে কোনো লোক নিয়োগ হবে কি-না। নিয়োগ করা হবে এ ফাঁদ পেতে তুষার ওই তরুণীর কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল নম্বর নেন এবং মোবাইলে বেশ কয়েকবার কথা বলেন।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, পরে গত ২১ মে তুষার তার সহযোগী লাবলুকে নিয়ে গারো তরুণীকে তুলে নিয়ে চলন্ত মাইক্রোবাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
গত ২১ মে রাত দশটার দিকে কাজ শেষে ওই তরুণী যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে উত্তরার বাসায় যেতে কুড়িল এলাকায় বাসের জন্য একটি সিএনজি স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন।
ওই সময় ছাইরঙের একটি মাইক্রোবাস তার সামনে এসে থামে। মাইক্রোবাস থেকে দুই যুবক নেমে এসে অস্ত্র দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে গাড়িতে তুলে নেন।
এরপর গাড়িতে তুলেই তার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে গাড়িটি বিভিন্ন সড়কে ঘুরতে থাকে। গাড়ির ভেতরে চালকসহ পাঁচজন পর্যায়ক্রমে তরুণীটিকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময়ও তাকে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে রাখা হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে তাকে নামিয়ে দিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরদিন ওই তরুণী ভাটারা থানায় মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর রুম্মান মাহমুদ, সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদুল আলমসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।