‘গণপিটুনি’তে দুই যুবকের মৃত্যু : পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ

সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মে ২০১৫, ৬:৩৩ অপরাহ্ণসিলেট পোস্ট রিপোর্ট: যশোরে গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ উত্থাপিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ইসমাইল শেখের মামা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার সম্পাদক দেলোয়ার রহমান দীপু।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার রাতে যশোর-মাগুরা সড়কের হুদার মোড় এলাকায় যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ৫ম পর্বের ছাত্র ইসমাইল ও ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী আল-আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। অথচ পুলিশ ওইদিন দাবি করে, বরুণ তরফদার নামে এক লোকের মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে ওই দুই যুবক নিহত হন।
সংবাদ সম্মেলনে দেলোয়ার বলেন, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন কিছুই জানে না।’
তিনি দাবি করেন, যার মোটরসাইকেল ছিনতাই করা হচ্ছিল বলে পুলিশ দাবি করছে, সেই বরুণ তরফদারের এক আত্মীয়ার সঙ্গে নিহত ইসমাইল অথবা আল-আমিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। এরই জেরে তাদের দুজনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শরীরে গণপিটুনির কোন চিহ্ন নেই এবং গলার ওপরের অংশে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও এ সময় জানান দেলোয়ার। তিনি এ হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইসমাইলের বাবা বেলাল শেখ, মা রেহানা বেলাল, বড় মামা মঞ্জুরুল আলম, নিহত আল-আমিনের বড় ভাই রবিউল ইসলাম, চাচা ইনসার আলীসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।