সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের (ওমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন, শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে অল্প বয়সে বিয়ে এবং গর্ভধারণের জন্য প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক মা-বোনেরা অতি মানবেতর জীবন জাপন করছে। একটু সচেতন হলে বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসবকে সঠিক সময় দক্ষ দাই দ্বারা প্রসব করাতে পারলে অল্প বয়সে অধিক সন্তান ও ঘনঘন সন্তান জন্ম না দিলে এ রোগ থেকে প্রতি বছর ৬০-৭০ হাজার মা বোন রক্ষা পেতে পারেন।তিনি আরো বলেন, ফিস্টুলা রোগ কোন মহামারী বা ছোয়াঁছে রোগ নয় দেশে এখন অনেক উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ সার্জন দ্বারা অপারেশন করালে ৯৫% প্রসবজনিত ফিস্টুলা প্রসূতি একদম ভাল হয়ে স্বাভাবিক জীজনে ফিরে আসে এবং ভবিষ্যতে আবারও সুস্থ্য স্বাভাবিক বাচ্চা প্রসব করতে পারে।আজ সকাল ১০ টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেমিনার রুমে বিশ্ব ফিস্টুলা দিবষ (৩য়) উপলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ইউএনএফপিএ’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অধ্যাপক মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী উপরের কথা বলেন।এ বছর প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগের প্রতিপাদ্য স্লোগান ছিল ফিস্টুলা হোক নির্বাসিত, নারী হোক সম্মানীত।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জে: মোঃ আব্দুস ছবুর মিয়ার সভাপতিত্বে এবং গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যক্ষ ডাঃ সমর কুমার ঘোষের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন, বিএমএ’র সভাপতি অধ্যাপক রোকন উদ্দিন আহমদ, গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কল্লোল বিজয় কর, ইউরোরজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ প্রমোদ রঞ্জন সিংহ, গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ দীরিপ কুমার ভৌমিক, অধ্যাপক (গাইনী)আয়শা রহিম, ইউএনএফপিএ’র কর্মকর্তা নেটওয়াকিং জান্নাতুল ফেরদৌস্ ী। সেমিনারের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন প্রধান সহকারী মোঃ আবুল কাসেম।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জে: মোঃ আব্দুস ছবুর মিয়ার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ রোগের বিস্তার রোধ ও গনসচেতনতা বাড়াতে ২০০৩ সাল থেকে প্রসবজনিত ফিস্টুলা রোগে আক্রান্তদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। শুধু চিকিৎসা সেবা নয় সামাজিক ভাবে তাদের বেঁচে থাকার জন্য ফ্রি চিকিৎসা, ফ্রি প্রশিক্ষন , ফ্রি থাকা খাওয়া, যাতায়াত ভাড়া, এবং প্রশিক্ষন পরবর্তি পূর্নবাসনের জন্য আর্থিক সহয়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতি বছর ৭১ হাজারমা-বোন এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারী এ বেসরকারী হাসপাতাল গুলিতে এ সকল মা-বোনদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং এরা সবাই চিকিৎসা শেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে সুখের সংসার করছে। আর নয় অবহেলা, আর নয় অসচেতনতা আমাদের সবাইকে এ রোগ মোকাবেলায় সচেতন হতে হবে।