সিলেটপোস্টরিপোর্ট:মসজিদেচেয়ারে বসে নামাজ পড়া বৈধ নয়- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে এমন এক ফতোয়া প্রকাশের পর এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।কেন এবং কিভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এরকম এক ফতোয়া জারি করলো, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটি ফতোয়াটিও পর্যালোচনা করে দেখবে।জানা গেছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা সেল থেকে এরকম এক ফতোয়া জারির পর তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে ঢাকার একটি দৈনিকেও এই ফতোয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করা হয়।বিষয়টি নজরে আসার পর সরকারের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হয়। জানা গেছে, সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের একজন মুফতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গত ১৯শে মার্চ এই ফতোয়া জারি করেন। তাঁর কাছে বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া থানার কান্দানিয়া গ্রামের সারোয়ার হোসাইন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, মসজিদের ভেতর চেয়ারে বসে নামাজ আদায় শরিয়তসম্মত কিনা।মুফতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে তিনি বলেছেন, কেউ যদি অসুস্থ হন, সেক্ষেত্রে বসে, দাঁড়িয়ে বা শায়িত অবস্থায় নামাজ পড়ার বিভিন্ন বিধান ইসলামে আছে। কিন্তু চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের বিধানের কোন নজির কোন কেতাবে তিনি দেখতে পাননি। কেন মসজিদে চেয়ারে বসে নামাজ পড়লে তা বৈধ হবে না- এর ১২টি কারণ তিনি তার ফতোয়ায় সবিস্তারে উল্লেখ করেছেন।এই ফতোয়া নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হওয়ার পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন অবশ্য এখন বিষয়টির সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, এই ফতোয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নয়। যে মুফতি এটি জারি করেছেন, এটি তাঁর ব্যক্তিগত মতা
সূত্র: বিবিসি