সংবাদ শিরোনাম
শান্তিগঞ্জের টাইলা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনমুজুরের বসতভিটা দখল করেছে ভূমিখেকোচক্র  » «   সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ  » «   সিলেটসহ ২৫ জেলার নতুন ডিসিদের কর্মস্থলে যাওয়া মানা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিফিং স্থগিত  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণগেল স্ত্রীর   » «   সিলেটের শাহপরাণ (রাহ.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে গভীর রাতে ওরসপন্থীদের সংঘর্ষ  » «   সারাদেশের সাত বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, একজনের মৃত্যু  » «   সিলেটে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন পি. কে. এম এনামুল করিম  » «   গোলাপগঞ্জে নির্দোষ ব্যক্তিকে আন্দোলনের মামলায় আসামি দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  » «   ব্যক্তিগত স্বার্থের জেরে শরীফপুর ইউপিতে তালা, ভেঙে ফেলল বিক্ষুব্ধ জনতা  » «   নবীগঞ্জে দখলদারদের কবলে ডেবনা নদী উপর ঘর-বাড়ি! অল্প বৃষ্টি বা বন্যার পানি আসলেই তলিয়ে যায় এলাকা  » «   দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার  » «   সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  » «   বিচার করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের,কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে- সিলেটে আল্লামা মামুনুল হক  » «   সিলেটবাসীর হৃদয়ে চির জাগরূপ হয়ে থাকবেন এম সাইফুর রহমান: মিফতাহ সিদ্দিকী  » «   আজ পদত্যাগ করতে পারে নির্বাচন কমিশন , দুপুরে সংবাদ সম্মেলন  » «  

স্ত্রীকে বেঁধে সারা রাত পেটালেন লন্ডন প্রবাসী স্বামী

31419সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে সারা রাত পিটিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী এক পাষন্ড স্বামী। নির্যাতনের শিকার ওই মহিলা বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বনাথ উপজেলার পৌদনাপুর গ্রামে। জানা গেছে, কয়েক মাস আগে বিশ্বনাথ উপজেলার পৌদনাপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের লন্ডন প্রবাসী ছেলে আনোয়ার আলী সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার আকিলপুর গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে ফারজানা বেগমকে (১৯) বিয়ে করেন। বিয়ের ১১ দিন পর আনোয়ার আলী লন্ডন চলে যান। গত এপ্রিল মাসে তিনি ফের দেশে ফিরেন। দেশে এসেই তিনি ফারজানার উপর নির্যাতন শুরু করেন। প্রায় দিনই তিনি স্ত্রীকে কোন না কোনভাবে নির্যাতন করতেন।এক পর্যায়ে গত সোমবার দিবাগত রাত ১১টার পর আনোয়ার আলী হঠাৎ করে স্ত্রী ফারজানাকে একটি চেয়ারের সাথে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরে তাকে নিয়ে যান ঘরের বাথরুমে। সেখানে নিয়ে তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে ফারজানার চোখও বেঁধে ফেলেন। শুরু করেন মারধর। এরপর ফারজানার মাথায় পানি ঢালতে থাকেন। এসময় ফারজানা বাঁচার জন্য আকুতি করতে থাকেন।ভোরে ফারজানার হাত ও চোখের বাঁধন খুলে দিলেও পায়ের বাঁধন খুলে দেননি পাষন্ড ওই স্বামী। মঙ্গলবার পুরো দিনই ওইভাবে পা বেঁধে রাখা হয় ফারজানার। একপর্যায়ে বিকাল ৫টায় আনোয়ার ফারজানার পিতা মাহমুদ আলীকে ফোন দিয়ে ফারজানা বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন এবং ফারাজানাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন।পরে ফারজানার পিতা মাহমুদ আলী, চাচা ঠাকুর মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিনকে নিয়ে আনোয়ারের বাড়ি যান। সেখানে যাওয়ার পর ফারজানাকে তাদের হাতে তুলে দেন আনোয়ার। এসময় ফারজানা নির্যাতনের বিবরণ দেন তার স্বজনদের কাছে। ফারজানার শারীরিক অবস্থার খারপ হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের ২য় তলায় ১৭ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।বুধবার দুপুরে নির্যাতনের স্বীকার ফারজানাকাছে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, এবার লন্ডন থেকে আসার পর আনোয়ার তার সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করেন এবং বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন। কিন্তু তা অস্বীকার করলে তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে একটি চেয়ার এনে তার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরে আনোয়া পরনের গেঞ্জি দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলেন তার (ফারজানা)।তিনি জানান, এক পর্যায়ে বাথরুমে নিয়ে তার উপরে পানি ঢালতে থাকেন ও মারধর করেন আনোয়ার। তখন আনোয়ার ঢাকায় নিয়ে তাকে খুন করারও হুমকি দিয়েছেন বলে জানান ফারজানা।ফারজানা জানান, নির্যাতনের এক পর্যায়ে একটি তিন পৃষ্ঠার একটি স্ট্যাম্প এনে সেটার মধ্যে স্বাক্ষর নেন আনোয়ার এবং বলেন, ‘শবে বরাতের মাস ও মায়ের কারণে তোকে হত্যা করিনি। না হয় আজ হত্যা করতাম।’ফারজানা আরো জানান, আনোয়ার একাধিক বিয়ে করেছেন। এক স্ত্রী লন্ডনে রয়েছে। সেই স্ত্রীর একটি সন্তানও আছে। কিন্তু বিয়ে হওয়ার আগে তাকে ও তার পরিবারকে তা জানানো হয়নি। বিয়ের পর তারা তা জানতে পেরেছেন বলে জানান ফারজানা।এ ব্যাপারে ফারজানার স্বামী আনোয়ার আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।তবে ফারজানাকে আনতে যাওয়া জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নিজাম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই ফারজানাকে তার স্বামী নির্যাতন আরে আসছে। গত সোমবার নির্যাতন করার পর গতকাল মঙ্গলবার আমরা তাকে নিয়ে আসি এবং পরে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।তিনি আরো জানান, ফারজানাকে আনার সময় অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের একজন ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন গণ্যমান্য মুরব্বিও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.