সংবাদ শিরোনাম
তারেক রহমানের খালাসের খবরে সিলেটে আনন্দ মিছিল  » «   সিলেটে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি’র উদ্যোগে মাসিক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত  » «   কুলাউড়ায় মানব পাচারকারীর বাড়িতে বিজিবির অভিযান,আটক-৮  » «   চিনিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অঞ্চল সিলেট  » «   বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে: কয়েস লোদী  » «   এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই  » «   জাদুকাটায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি-আনার জব্দ  » «   সিলেট বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত! ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নিতে উভয়েই এখন মরিয়া  » «   যেকোন মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখব : তারেক রহমান  » «   সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও পুলিশী হয়রানি থেকে বাঁচতে চাই-সংবাদ সম্মেলনে রাসেল রবি  » «   ফসল রক্ষা বাঁধের বরাদ্দের নামে অহেতুককোন প্রকল্প নেয়া হবে না- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান  » «   গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে আছে সিলেটের আওয়ামী লীগের নেতারা :কার্যক্রম নিরব  » «   সিলেট সীমান্তে (১৯ বিজিবি) প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্যসহ ২ জনকে আটক  » «   স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ১৭টি বছর শ্রমিকদলের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন করেছে-কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন  » «   অন্তরবর্তীকালীন সরকার এক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখালে জনগণের আস্থা ও সমর্থন হারাবে-শায়খ জিয়া উদ্দীন  » «  

আমি আমার ভালোবাসার টানে দেশে এসেছি-সিলেটী কন্যা আমেরিকা থেকে সিরাজগঞ্জে

new_bg_769304893-copyসিলেটপোস্টরিপোর্ট:প্রেমের শক্তি বটে সিরাজগঞ্জের যুবক সাদ্দাম হোসেনের। সিলেটী প্রেমিকা হালিমা নাসরিনকে নিয়ে এসেছে আমেরিকা থেকে সিরাজগঞ্জে। মোবাইল ফোনে রং নম্বরে দেশেই পরিচয় হয় দুজনার। তার পর হালিমা আমেরিকা পাড়ি জমান। প্রেম থেমে থাকেনি। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগে ট্যাঙ্গোতে কথা হতো নিয়মিত। আজ তাদের মিলনের দিন। কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ালেন পরিবারের সদস্যরা।জানা যায়, সিলেটের সম্ভ্রান্ত পরিবারের তরুণী হালিমা নাসরিন ও সিরাজগঞ্জের দরিদ্র পরিবারের যুবক সাদ্দাম হোসেনের। ফোনে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।সিলেটে থাকাকালে পরিচয় হলেও বছর তিনেক আগে নার্সিংয়ের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে আমেরিকায় যান নাসরিন। তবুও থেমে থাকেনি তাদের প্রেমের সম্পর্ক।আধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে মোবাইল ফোনের । এক পর্যায়ে নাসরিনের পরিবারের সদস্যরা এ প্রেমের বিষয়টি জেনে যান। বাধ সাধেন তারা। কিন্তু তরুণী হালিমা তার প্রেমের ব্যাপারে অটল। ওই যুবক সাদ্দামকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।দীর্ঘ তিন বছর পর আমেরিকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আজ ৩ জুন বুধবার সকাল ৯টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন হালিমা। আসেন প্রেমিক যুবক সাদ্দাম হোসেনও। হালিমার পরিবারের সদস্যরাও শাহজালালে এসে টের পান যে, তিনি সিলেট যাচ্ছেন না, প্রেমিক সাদ্দামের সঙ্গে যাবেন। আর তাই তাকে সিলেটে নিতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সহায়তা চান পরিবারের সদস্যরা। এ অবস্থায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সদস্যরা নাসরিনকে ডেকে নিয়ে আসেন কার্যালয়ে। কিছুক্ষণ পর নিয়ে আসা হয় ওই যুবককেও।নাসরিনের ভাই হেলাল তাকে অনুরোধ করতে থাকেন তাদের সঙ্গে সিলেটে যেতে। কিন্তু অনড় বোন বলেন, আমি সাবালিকা। আমার সিদ্ধান্ত, আমি যাকে ভালবাসি, তাকে বিয়ে করবো। মেয়ের সিদ্ধান্ত ও পরিবারের অনুরোধে বিব্রতবোধ করতে থাকেন দায়িত্বরত এএসপি আসমা আরা জাহান। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। এরপর ওই তরুণীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে প্রেমিকের সঙ্গে যেতে দেওয়ার পরামর্শ দেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরামর্শ পেয়ে কর্তব্যরত অফিসার প্রেমিক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীকে যেতে দেন।প্রেমক সাদ্দাম হোসেন বলেন, তিন বছর ধরে আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। আমরা দু’জন আজ বুধবার বিয়ে করবো। আমার গ্রামের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছে।প্রেমিকা হালিমা বলেন, আমি আমেরিকার গ্রিনকার্ডধারী নাগরিক। আমি আমার ভালোবাসার টানে দেশে এসেছি। সাদ্দামের সঙ্গে যেতে দেওয়ার জন্য আমি আর্মড পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র এএসপি আলমগীর হোসেন শিমুল বলেন, আমরা মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করি, সে তার পরিবারের সঙ্গে যাবে কি না। সে বলে, আমি এডাল্ট। আমি আমার প্রেমিকের সঙ্গে যাবো। আজ আমরা দু’জন বিয়ে করছি।এ অবস্থায় আমাদের করার কিছু নেই। তাই আমরা তাদের নিরাপদে বিমানবন্দর ত্যাগে সহায়তা করেছি, বলেন তিনি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.