সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : টালিউডের নায়ক ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এখন ঢাকায়। আজ শুরু করবেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত সম্রাট ছবির শুটিং।
চোরাবালি’ ছবির পর আবারও বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয়ের জন্য এসেছেন। অনুভূতি কেমন?
ভালো। দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করতে এলাম। মাঝে কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গেই কথা হয়েছে, কিন্তু আর কাজ করা হয়নি। এবার ছবির বাজেট বড়, সহশিল্পী হিসেবে বড় বড় তারকা ও আমাকে নিয়ে পরিচালকের আগ্রহ—সবকিছু মিলে যাওয়ার কারণেই কাজটি করতে পারছি।
শাকিব খানের সহশিল্পী হিসেবে কাজ করছেন, কেমন লাগছে?
খুবই ভালো লাগছে। আমি খুশি যে বাংলাদেশের সুপারস্টারের সঙ্গে এক ফ্রেমে কাজ করতে পারছি। এর আগে যখন বাংলাদেশে শুটিং করতে এসেছিলাম, তখনই তাঁর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জেনেছি। তাঁর সঙ্গে আমার ফোনে কথাও হয়েছে।
টালিউডে সাহিত্যনির্ভর ছবিতেই আপনাকে বেশি অভিনয় করতে দেখা যায়। তবে বাংলাদেশে মৌলিক গল্পের ছবি ‘চোরাবালি’তে অভিনয় করেছেন। এবার ‘সম্রাট’। নিজের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করছে না?
আমার কাছে তা মনে হয় না। সাহিত্যনির্ভর ছবিতে অভিনয়ের আগে গল্পটি পড়া থাকলেও তো শুটিংয়ের আগে আবারও পড়তে হয়। মৌলিক গল্পের ছবিতেও চিত্রনাট্য পড়তে হয়। আলাদা কোনো সুবিধা-অসুবিধা নেই। চিত্রনাট্যের ভেতরেই ছবির প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকে। বুদ্ধি খাটিয়ে চরিত্র বুঝে নিলেই হয়। আর পরিচালকের ভিশনটা জানা থাকতে হবে।
আপনাকে নেতিবাচক চরিত্রেও অভিনয় করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের কোনো ছবিতে খলচরিত্রের প্রস্তাব পেলে কাজ করবেন?
অবশ্যই। আমি একজন অভিনেতা। সব চরিত্রেই সাবলীল। তবে চরিত্র নির্বাচনের আগে আমি দেখে নিই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কতটুকু জায়গা পাব।
টালিউড তারকাদের কেউ কেউ এখন ঢাকার চলচ্চিত্রে ঝুঁকছেন। ইদানীং টালিউডের ব্যবসায় মন্দার কারণেই কি এই আগ্রহ?
এটা ঠিক যে গত এক-দেড় বছর কলকাতার ছবির ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। তবে সব সময়ই যে এ রকম যাবে, তা-ও না। একসময় বাজার ঠিক হয়ে যাবে। তবে এ কারণেই যে কলকাতার তারকারা ঢাকার চলচ্চিত্রে ঝুঁকছেন, ঠিক তা নয়। এখন দুই বাংলা মিলে যৌথ ছবি তৈরি হচ্ছে। ফলে দুই দেশের তারকারা একসঙ্গে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে করে ছবির বাজার প্রসারিত হচ্ছে। নিয়মিতভাবে যৌথ প্রযোজনার কাজ চলতে থাকলে দুই বাংলার চলচ্চিত্র সমৃদ্ধ হবে। এই মন্দাও কেটে যাবে।