সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে দ্বন্দ্বটা প্রকট হয়ে গিয়েছিল ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ ছবি মুক্তির সময় থেকে। প্রসূনের অভিযোগ ছিল-‘একটা পয়সাও পাইনি কাজ করে’। ছবির অন্যতম প্রযোজক ও নায়ক মারুফ উল্টো ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। বলেন-‘সে দুদিন আমাদের শিডিউল ফাঁসিয়েছিল। আগে সে ক্ষতিপূরণ দিক’।
প্রসূন এ নিয়ে নানা সময় পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সাক্ষাতকারে তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। এ বক্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে কাজী হায়াত তার ‘সম্মানহানি’ হয়েছে উল্লেখ করে পরিচালক সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি একই সাথে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক সমিতি থেকে প্রসূন আজাদকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
প্রসূন বলেন, ‘আমি কক্সবাজারে শুটিং-এ ছিলাম। সেখান থেকে বাসায় ফিরে ১লা জুন চিঠিটা পাই। গতকাল এফডিসিতে এ নিয়ে একটি মিটিং হয়। সেখানে আমি কাজী হায়াতের কাছে সরি বলি। তিনিও আমাকে সরি বলেন। যেহেতু দুজনেই কম-বেশি দোষী তাই বিষয়টা ওখানেই মীমাংসা হয়ে যায়।’
এ ঘটনা নিয়ে কাজী হায়াতকে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও উনি ফোন ধরেননি। ‘অচেনা হৃদয় মুক্তির সময় একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রসূনের একটি বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়। প্রসূন আমাদের বলেন, সর্বনাশা ইয়াবার সময় দুদিনের শিডিউল ওরা আমাকে না জানিয়ে রেখেছিল। যা নিয়েই পরবর্তীতে যত সমস্যার উদ্ভব।’
পরবর্তীতে কাজী হায়াত ও প্রসূনকে মুখোমুখি করলে প্রবীন পরিচালক নবীন নায়িকাকে মেয়ে বলে বুকে জড়িয়ে ধরেন। একই সাথে প্রসূন তাকে বাবা ডেকে ক্ষমা চান বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানান।