সংবাদ শিরোনাম
সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি- লুৎফুর, সাধারণ সম্পাদক-জহুরুল, কোষাধ্যক্ষ ফয়সল  » «   ডিম, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার  » «   মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার  » «   আজকে সিলেটে বিএনপির র‍্যালি-সমাবেশ স্থগিত পরবর্তী ১৭ তারিখ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে  » «   গণতন্ত্র হত্যাকারীরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, খেয়াল রাখতে হবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ওসমানীনগরে আ,লীগ নেতা মুকিদের বিরোদ্ধে প্রবাসী মহিলার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ!  » «   শান্তিগঞ্জের টাইলা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনমুজুরের বসতভিটা দখল করেছে ভূমিখেকোচক্র  » «   সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ  » «   সিলেটসহ ২৫ জেলার নতুন ডিসিদের কর্মস্থলে যাওয়া মানা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিফিং স্থগিত  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণগেল স্ত্রীর   » «   সিলেটের শাহপরাণ (রাহ.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে গভীর রাতে ওরসপন্থীদের সংঘর্ষ  » «   সারাদেশের সাত বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, একজনের মৃত্যু  » «   সিলেটে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন পি. কে. এম এনামুল করিম  » «   গোলাপগঞ্জে নির্দোষ ব্যক্তিকে আন্দোলনের মামলায় আসামি দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  » «   ব্যক্তিগত স্বার্থের জেরে শরীফপুর ইউপিতে তালা, ভেঙে ফেলল বিক্ষুব্ধ জনতা  » «  

যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক সিলেটের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

0000000000003838সিলেটপোস্টরিপোর্ট:যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক সিলেটের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৪ এ মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বহাল রাখার দাবীতে সিলেটের জিন্দাবাজারস্থ একটি হোটেলে ১০ জুন  সকাল ১১ ঘটিকায় সংবাদকর্মীদের সাথে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক সিলেটের আহবায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক সিলেটের সদস্য যথাক্রমে এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম সাবেক সভাপতি সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতি, এডভোকেট ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, ব্লাস্ট সিলেট, এডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার, সমন্বয়কারী বেলা সিলেট, তাহমিনা ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট, এডভোকেট সৈয়দা শিরিন আক্তার, বিভাগীয় প্রধান বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবি সমিতি, মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট, সাংবাদিক ইউসুফ আলী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী,  আব্দুল হাই আজাদ বাবলা, কৃষি প্রযুক্তিবীদ সিলেট, সৈয়দা শামীম আরা, মানবাধিকার সংগঠক আলী আহসান হাবিব, মানবাধিকার সংগঠক শাহ আলম, ডা. শিহাব উদ্দিন।প্রেস ব্রিফিং এ যা বলা হয়- বাল্যবিয়ে বা অপরিণত বয়সে বিয়ে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি সমস্যা যা জেন্ডারসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টির মধ্যে ৬টি অর্জনের ক্ষেত্রেই বাল্যবিয়ে একটি অন্যতম বাধা। বাল্যবিয়ের কারণে ছেলে- মেয়ে উভয় শিশুরই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এবং এর পরিণতিতে শুধু শিশু, অল্পবয়সী নারী নয় বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো পরিবার। বাল্যবিবাহের প্রথম শিকার হয় শিশু, দ্বিতীয় শিকার নারী এবং তৃতীয় শিকার সমাজ।আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, ১৯২৯ সালের আইনে বিদ্যমান বিয়ের বয়সসীমা ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর থেকে ১৬ বছর করে ’বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৪’ চূড়ান্ত করার একটা প্রক্রিয়া চলছে। আইন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বাল্যবিয়ে রোধে একটি জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যানও করা হয়েছে যেখানে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৬ বছরই ধরা হয়েছে। আমরা সরকারের এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করছি। আগামী ২০১৫ পরবর্তী জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিকল্পনায় যেখানে নারীপুরুষের সমতা, নারীর মানবাধিকার ও নারীর প্রতি সহিংসতা  নির্মূলকরণকে কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার প্রত্যয় নিয়ে জাতিসংঘ ও সদস্য রাষ্ট্র সমূহ কাজ শুরু করেছে বাল্যবিয়েকে এ ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তখন এ ধরনের অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত আমাদেরকে বিষ্মিত  করেছে।আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, ফরিদপুর …টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফরম যা যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, নারীর মানবাধিকার অর্জন ও রক্ষার লক্ষ্যে বহুমুখী প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।আমরা আরও দুঃখিত এইজন্য যে, অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে নারীর মানবাধিকার সংগঠন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন,  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকলে মিলিতভাবে দীর্ঘ আলাপ আলোচনা ও দেশের বিশিষ্ট আইনজ্ঞদের সুপারিশ মতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় সকলের পক্ষ হতে সর্ব সম্মতভাবে যে সুপারিশ পেশ করা হয়েছিল তা সম্পূর্নভাবে উপেক্ষা করে  এ ধরনের পশ্চাৎমূখী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যা আমাদের খুব্ধ করেছে।সকল ধর্মের, সকল বর্ণের, সকল গোত্রের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের বিবাহ নিরোধের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ ১৯৭৯ ও শিশু অধিকার সনদ ১৯৮৯ এর স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হিসেবে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৪ এ মেয়েদের বয়স  বর্তমানে প্রচলিত আইনের বয়সই  বহাল রাখার জন্য দাবি জানানো হচ্ছে। তাছাড়া  জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ ( সি আর সি) ও বাংলাদেশের  প্রচলিত শিশু আইনে বয়স ১৮ বছরের কম হলে তাকে শিশু বলা হয়েছে এ ক্ষেত্রে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বিয়ের বয়স কমানো হলে প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হবে।দীর্ঘ চার দশকের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠন, জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা, চিকিৎসক সমাজ, গবেষক সকলের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বজনীনভাবে এটাই দেখা গিয়েছে যে, ১৮ এর নীচে বয়স নারীর মাতৃত্ব গ্রহণ, সন্তান জন্ম দানের জন্য যথাযথ উপযুক্ত হয়ে উঠেনা। শিশু বয়সে সন্তান জন্মদান, সেই সব  শিশু কন্যাদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্যঝুঁকি, মাতৃমৃত্যু হার, শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধিসহ তাদের সারা জীবনব্যাপী ক্ষতিকর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তৈরী হয় যা তার ভবিষ্যত জীবনকে আরও দুর্বিসহ করে তোলে।  তারা কেবলমাত্র প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই পরেনা, এর ফলে তাদের জীবনে জটিল পরিস্থিতি তৈরী হয়। অপরিণত বয়সে অপুষ্ট  শিশুর জন্ম দান পুষ্টিহীন ভবিষ্যত প্রজন্ম ও মাতৃত্ব ঝুঁকির পরিবেশ তৈরী করবে । এর ফলে উন্নয়ন কর্মকা-ে কন্যা শিশুরা আরও ব্যাপকহারে বাদ পড়বে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝড়ে পড়ার হার বৃদ্ধি পাবে। ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে, নারী নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি  পাবে যা দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে চরম নেতিবাচক প্রভাব  তৈরী করবে।মেয়েদের নিজের পায়ে দাড়ানোর সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এক কথায় নারীর মানবাধিকার চরমভাবে বিঘিœত হবে।নারীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া ও ধারা হবে বাধাগ্রস্থ।এখানে উল্লেখ করা করা প্রয়োজন, ২০১৪ সালে প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৯ শতাংশ মেয়ের এবং ১৮ বছরের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের গড় হার ৬৫ শতাংশ। ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের এই হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। এই বিবেচনায় বাল্যবিয়ের হারে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তৃতীয়। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এক দশক ধরে বাংলাদেশে ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রে ১৯ বছর বয়সের আগেই বাল্যবিয়ের শিকার নারীরা গর্ভবতী হচ্ছে। এই বয়সসীমায় মা হওয়া ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪১ শতাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।আমরা মনে করি, বিয়ের বয়স ১৬ করা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে বরং বাড়ানো উচিত। শুধু বিয়ের বয়স বাড়ানো হলেই বাংলাদেশে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। একজন মেয়ে যদি ¯œাতক ডিগ্রিও অর্জন করে তাহলেও তার ন্যূনতম ২২ বছর সময় প্রয়োজন হয়। ১৮ বছরের নিচে একজন নারীর বিয়ে হলে সন্তান ধারণের বিষয়টিও তার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া মানে বাল্যবিয়ে প্রবর্তন করা। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি) ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বয়স ১৮ বছরের কম হলে তাকে শিশু বলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত) ২০০৩ অনুযায়ী, ১৬ বছরের নিচে কোনো নারীর সম্মতিতে বা অসম্মতিতে যৌন সঙ্গম করলে তা ধর্ষণের অপরাধ। এখন যদি বিয়ের বয়স ১৬ করে আইন করা হয়, তবে তা হবে আইন করে শিশু ধর্ষণ। ১৬ বছরের একটি মেয়ে কখনই বিয়ের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স কমিয়ে ১৬ করা হলে প্রচলিত আইনের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে বিয়ের বয়স কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হচ্ছে আরও বড় বিপর্যয় ডেকে আনা।১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন সংশোধিত করে ১৯৮৪ সালে ছেলের জন্য ২১ ও মেয়ের জন্য ১৮ করা হয়। যদিও অভিভাবকেরা ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছে কিন্তু তারা আইনসিদ্ধ বয়স সম্পর্কে জানে এবং এর পরিণতি বিষয়েও ধারণা রাখে। দীর্ঘ ৩০ বছর লেগেছে এই তথ্য প্রচার ও প্রসার করতে এবং অবশ্য পালনীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। বিয়ের বয়স কমিয়ে আনা হলে তা হবে গত ৩০ বছরের অর্জনকে ত্যাগ করা ও আত্মঘাতী। তাছাড়া জনমনে এই ধারণা জন্ম নিতে পারে যে ১৮ বা ১৬ কেন, ইচ্ছে হলে বিয়ের বয়স আরও কমানো যেতে পারে বা যে কোন বয়সেই বিয়ে দেওয়া যেতে পারে।আমরা নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ সুনির্দিষ্টভাবে জানি যে, এই বিষয়গুলো যা উল্লেখ করা হলো নীতি নির্ধারকগণ, সরকার যথাযথভাবে অবগত আছেন। আমাদের প্রশ্ন  বিভিন্নমুখী নেতিবাচক  অভিজ্ঞতা জানা সত্ত্বেও কেন নতুন করে একটি পশ্চাৎমুখী সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হচ্ছে যা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক, চরম নেতিবাচক ক্ষেত্র তৈরী হবে। বাল্য বিবাহ সংঘটিত হওয়ার মূল কারণ সমূহ দূর করার জন্য রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজকে আরও বহুমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে, বিয়ের বয়স কমিয়ে নয়-  প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন রাষ্ট্রীয়, সামাজিক অর্থনৈতিক  পদক্ষেপ আরও বৃদ্ধি করেই সেইসব বাধা দূর করা সম্ভব।
জাতিসংঘ সিডও সনদ, চতুর্থ বিশ্বনারী সম্মেলনে গৃহীত নারী উন্নয়নমূলক কর্মসূচি (কন্যা শিশুর অধিকার এর মধ্যে একটি) বাস্তবায়নের জন্য যখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক কর্মতৎপরতা (রাষ্ট্র, সরকার. নারী মানরবাধিকার আন্দোলন) চলছে যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও যখন সরকারের পক্ষ থেকেও ভিশন ২০-২১, ২০-৪১ স্বপ্ন ও পরিকল্পনা বার বার ঘোষণা করা হচ্ছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সামগ্রিক অগ্রগতির লক্ষ্যে, সেই মূহুর্তে এই ধরনের নারীর ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন বিমূখ চিন্তা পরিকল্পনা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে আমরা চাই অনতিবিলম্বে শর্তসাপেক্ষে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর রাখার বিধান বাতিল করা হোক। বিয়ের বয়স নূন্যতম ১৮ বছর রাখতে হবে। সকল মানবাধিকার ও উন্নয়নের সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বাল্যবিয়ে বন্ধে একটি জাতীয় অঙ্গীকার ঘোষণার জন্যও আমরা আহবান জানাই।উক্ত প্রেস ব্রিফিং এ জাতীয় এবং স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.