সিলেটপোস্টরিপোর্ট:কিশোরদের আটক করে মারধোর ও নির্যাতানের প্রতিবাদ করার জের হিসেবে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল ও তেঘরিয়া ইউনিয়নের শিয়ালদাড়িয়া ও পাচপাড়িয়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেটেছ। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে সিলেট ও ১০ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় পূর্ব পইল গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও প্রায় ১০টি গরু লুট করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক ও পইল ইউপি চেয়াররম্যান সাহেব আলীর মধ্যস্থতায় উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার বিকেলে পূর্ব পইল গ্রামের কয়েকজন কিশোর পাশ্ববর্তী বড়পোতা মাঠে খেলতে যায়। এ সময় শিয়ালদাড়িয়া গ্রামের কয়েকজন যুবকরা তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় মুরুব্বিদের অবহিত করা হয়। এ নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় শিয়ালাদাড়িয়া ও পাচপাড়িয়া গ্রামের লোকজন। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে মধ্যরাতে কিশোরদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা দেখা হয়। এদিকে গত সোমবার বিকেল থেকে শিয়ালদাড়িয়া ও পাচপাড়িয়া গ্রামের লোকজন সংঘষের প্রস্তুতি নেয়া হয়। এর তাতে নেতেৃত্ব দেন সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ও শিয়ালদাড়িয়া গ্রামের কালা মিয়া নামের এক ব্যক্তি। অনেকটা তাদের ইশারায় সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়া হয়। রাতভর উত্তেজনার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিয়ালদাড়িয়া ও পাচপাড়িয়া গ্রামের লোকজন পূর্ব পইল গ্রামের সীমানার মধ্যে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুরর রহমান আওয়াল ও পইল ইউনিয়নের চেযারম্যান সাহেব আলী, হবিগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবুল হাসিমসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পরবর্তীতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষের সময় পূর্ব পইল গ্রামের প্রায় ১০টি গরু হাওর থেকে শিয়ালদাড়িয়া ও পাচপাড়িয়া গ্রামের লোকজন লুট করে নিয়ে যায়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় পূর্ব পইল গ্রামের সালাম মিয়া (৩০) ও দুলন মিয়া (২০) কে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো মোছাব্বির হোসেন (৩৫), সজল মিয়া (২৪), কিসমত আলী (৪০) প্রমুখ। এদিকে সংঘর্ষের বিষয়টি শালিসে নিস্পত্তির লক্ষে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। শীঘ্রই একটি শালিস বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
হবিগঞ্জ দু গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: জুন ১০, ২০১৫ | ৬:২৪ অপরাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »