সিলেটপোস্টরিপোর্ট:তরুণীদের মনে ঝড় তোলা সেই পাখি নেই। তরুণী পটানো পাখি অজানার দেশে পাড়ি জমানোর পর বাংলাদেশি কিশোরী আর তরুণীদের মগজ কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে স্বপ্নপুরীর রাণী কিরণমালা।
ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে প্রচারিত ধারাবাহিকের কিরণমালা চরিত্রের নামে নামকরণ করা জামা বাংলাদেশের ঈদ মার্কেট দখল করে নিয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকার মত কিশোরী-তরুণীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ‘কিরণমালা’। স্যাটেলাইটের কল্যাণে এদেশীয় মেয়েদের মগজে কিরণমালা এতটাই জায়গা দখল করেছে যে, কিরণমালা জামা না পেয়ে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছে এক কিশোরী।বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুলের মেয়ে সাবিনা (১৪) অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। সাইফুল ইসলাম অন্ধ। কোন কাজ করতে পারেন না। সাইফুলের স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে কোন মতে সংসার চালায়।ঈদ উপলক্ষ্যে কিশোরী-তরুণীদের মাঝে কিরণমালার যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভাইরাস আঘাত হানে অন্ধ সাইফুলের ঘরেও। স্কুলপড়–য়া মেয়ে সাবিনা বায়না ধরে কিরণমালার। স্কুলের সহপাঠী-বান্ধবীদের দেখে সেও কিরণমালা জামার আবদার জানায় বাবা-মা’র কাছে। কিন্তু অভাবী মা-বাবার পক্ষে এত দাম দিয়ে জামা কিনে দেয়ার সাধ্য নেই।মেয়েকে নিজের অক্ষমতা বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে সাবিনার মা একপর্যায়ে কড়া ভাষায় শাসন করে। কিন্তু অভাবী মায়ের মুখের কড়া শাসন মেনে নিতে পারে নি সাবিনা। কিরণমালায় আসক্ত সাবিনা ক্ষোভে, অভিমানে শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে নিজের শোবার ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে চিরদিনের মত পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় সাবিনা।
ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাবিনা স্থানীয় ছোনকা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে প্রচারিত ধারাবাহিকের কিরণমালা চরিত্রের নামে নামকরণ করা জামা বাংলাদেশের ঈদ মার্কেট দখল করে নিয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকার মত কিশোরী-তরুণীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে ‘কিরণমালা’। স্যাটেলাইটের কল্যাণে এদেশীয় মেয়েদের মগজে কিরণমালা এতটাই জায়গা দখল করেছে যে, কিরণমালা জামা না পেয়ে নিজের জীবনটাই শেষ করে দিয়েছে এক কিশোরী।বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইফুলের মেয়ে সাবিনা (১৪) অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। সাইফুল ইসলাম অন্ধ। কোন কাজ করতে পারেন না। সাইফুলের স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে কোন মতে সংসার চালায়।ঈদ উপলক্ষ্যে কিশোরী-তরুণীদের মাঝে কিরণমালার যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভাইরাস আঘাত হানে অন্ধ সাইফুলের ঘরেও। স্কুলপড়–য়া মেয়ে সাবিনা বায়না ধরে কিরণমালার। স্কুলের সহপাঠী-বান্ধবীদের দেখে সেও কিরণমালা জামার আবদার জানায় বাবা-মা’র কাছে। কিন্তু অভাবী মা-বাবার পক্ষে এত দাম দিয়ে জামা কিনে দেয়ার সাধ্য নেই।মেয়েকে নিজের অক্ষমতা বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে সাবিনার মা একপর্যায়ে কড়া ভাষায় শাসন করে। কিন্তু অভাবী মায়ের মুখের কড়া শাসন মেনে নিতে পারে নি সাবিনা। কিরণমালায় আসক্ত সাবিনা ক্ষোভে, অভিমানে শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে নিজের শোবার ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে চিরদিনের মত পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় সাবিনা।
ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাবিনা স্থানীয় ছোনকা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।শেরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোন অভিযোগ না থাকায় সোমবার সকাল ১০টার দিকে লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।