সিলেটপোস্ট ২৪ ডটকম : জিম্পেরিয়াম নামে যুক্তরাজ্যের এক মোবাইল নিরাপত্তা কোম্পানি জানিয়েছে, একটি মাত্র ম্যাসেজেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে যে কারো অ্যান্ড্রেয়েড ফোন। এমনকি ওই ম্যাসেজটি খোলাও লাগবে না। সেটি শুধু মোবাইলে প্রবেশ করলেই চলবে- হ্যাক হয়ে যাবে সব তথ্য।
জিম্পেরিয়ামের গবেষকরা এই সাইবার হামলার নাম দিয়েছেন, ‘স্টেজফ্রাইট’। গবেষকদের দাবি বিশ্বের ৯৫ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোন-ই এই হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। সে হিসেবে বিশ্বজুড়ে ৯৫ কোটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন গ্রাহকের ফোনই হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও গুগলের তথ্য মতে, এখনো কেউই ওই হামলার শিকার হয়নি।
কোম্পানিটির গবেষক দলের প্রধান, জোশুয়া ড্রেক বলেন, ‘কোনা একটি ফোন হ্যাক করার জন্য শুধু এর নাম্বার হলেই চলবে। আর কিছু লাগবে না। সে হিসেবে ধারণা করা হয় যে, সরকারি কর্মকর্তা বা প্রাইভেট কোম্পানির নির্বাহী থেকে শুরু করে যে কারো অ্যান্ড্রয়েড ফোনই হ্যাক হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়।’
স্টেজফ্রাইট নামের এই সাইবার হামলা চালানো হয় ফোনে একটি অজ্ঞাতপরিচয় এমএমএস পাঠানোর মাধ্যমে। এমএমএসটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গেই যে কারো ফোনে ঢুকে পড়তে সক্ষম। এমএমএসটি কোনো হ্যান্ডসেটে ঢোকা মাত্র এর মধ্য দিয়ে হ্যাকার ওই সেটটির যে কোনো ফাইল, সংরক্ষিত তথ্য, ক্যামেরা এবং এমনকি মাইক্রোফোনের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিতে সক্ষম হয়।
এ সব কিছুই ঘটে যেতে পারে ওই হ্যান্ডসেটের মালিকের অজান্তেই। কারণ যেহেতু এমএমএসটি গ্রহীতা না খুললেও হ্যাকার এর মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের সবকিছুতেই প্রবেশ করতে সক্ষম হবে সেহেতু হ্যান্ডসেটের মালিকের অজান্তেই তার সব তথ্য চুরি হয়ে যাবে। এমনকি হ্যাকিং শেষে গ্রহীতা ওই এমএমএসটি দেখার আগেই সেটি মুছেও দিতে পারবে হ্যাকার। ফলে এমনকী কী থেকে কী হল তার কিছুই ঠাহর করতে পারবেন না ফোনের মালিক। ঘুমের মধ্যেই হয়তো কারো অ্যান্ড্রয়েড ফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ২.২ সংস্করণ এবং বিশেষ করে ২০১২ সালের আগে বাজারে আসা ডিভাইসগুলো হ্যাক হওয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে গুগল ও ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যালায়েন্স অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।
তবে গুগল এর পরবর্তী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নেক্সাসকে ধরনের হামলার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যুক্ত করেই বাজারে ছাড়বে।