সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেটের কালীবাড়ি এলাকায় ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ২টি গাড়ি, ১টি মোটর সাইকেল ও অর্ধশতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার রাত ১০টার দিকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজেল তালুকদার ও যুবলীগ নেতা শাহেদ আহমদ গ্রুপের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমরান আহমদ ও যুবলীগ নেতা গুলজার আহমদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সুজেল গ্রুপের কর্মী সৌরভকে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মারধর করে ইমরান গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে উভয় গ্রুপে উত্তেজনা ছড়ালে ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাসসহ এলাকার মুরব্বীরা উভয় গ্রুপকে নিবৃত্ত ও বুধবার বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
সেই প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যার পর আখালিয়া পয়েন্টে পুলিশের উপস্থিতিতে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকার মুরব্বীরা বসেন। কিন্তু এতে সমাধা না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরবর্তী বৈঠকের সময় নির্ধারণ হয়। বৃহস্পতিবার সালিশ বৈঠক বসার ঘোষণা দেয়ার পর যুবলীগ নেতা শাহেদ সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাসের সাথে বিত-ায় জড়ান। সৌরভকে মারধরের পেছনে জগদীশের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শাহেদ।
এনিয়েই সুজেল-শাহেদ গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইমরান-গুলজার গ্রুপ। প্রায় একঘন্টা ধরে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়। সংঘর্ষকালে একটি ট্রাক, একটি প্রাইভেট কার, একটি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে বৃহত্তর কালিবাড়ি এলাকার অর্ধশতাধিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে জালালাবাদ থানার সহকারী কমিশনার কামরুল ইসলাম ও ওসি আকতার হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ২০-২৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়া হয়।
জগদীস-সুজেল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) রহমত উল্লাহ।