সিলেটপোস্টরিপোর্ট:বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা এম ইলিয়াস আলী ও সিলেট জেলা বিএনপির ১ম সদস্য সাবেক ডাকসুনেত্রী জননেত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর কটুক্তির তীব্র সমালোচনা করে নিন্দা জ্ঞাপন করেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনীতিবীদের হাতে রাজনীতি না থাকায় রাজনীতি তার আভিজাত্য ও সৌন্দর্য হারিয়েছে। শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি একজন প্রবাসী এবং কর্মজীবনে এক সময় যুক্তরাজ্য হোটেল শ্রমিক এর কাজ করতেন। সেবিবেচনায় তাঁর মনমানসিকতা ও ধ্যানধারণা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গেলে তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যই যথেষ্ট। সিলেটের কোটি মানুষের নেতা জননেতা এম ইলিয়াস আলী ও তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে কটুক্তি করে শফিকুর রহমান চৌধুরী শুধু বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জের মানুষ নয় সিলেটের কোটি মানুষের হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী ও ছাত্রদলের সাবেক সোনালী ফসল জননেতা এম ইলিয়াস আলী ও মিসেস তাহসিনা রুশদী লুনা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একমাত্র নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জননেতা এম ইলিয়াস আলী ছাত্র রাজনীতি শেষে বর্তমান সরকারের হাতে গুম হওয়ার আগমূহুর্ত পর্যন্ত গণমানুষের রাজনীতির মাধ্যমেই সিলেটের মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসার স্থান করে নিয়েছেন। যা একজন রাজনীতিবিদকে অর্জন করতে হয় ভালোবাসা দিয়ে ভয়-ভীতি বা সন্ত্রাস করে নয়।
শফিকুর রহমান চৌধুরী ইলিয়াস আলীর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তায় এখনও ভীত ও ঈর্ষান্বিত। মিসেস তাহসিনা রুশদীর লুনা জননেতা এম ইলিয়াস আলীর সুযোগ্যপতœী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ছাত্রদলের সাবেক সোনালী ফসল, রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ তথা সিলেটের মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীকে বর্তমান সরকারের গুমনামক কারাগারে বন্দী রেখে রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব ছিল সময়ের দাবী এবং সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীদের জোর দাবী মিসেস তাহসিনা রুশদীর লুনা রাজনীতিতে পদার্পন করে বিশ্বনাথ বালাগঞ্জের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। যার প্রমাণ বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল। বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জের মানুষ মিসেস তাহসিনা রুশদীর নেতৃত্বে যখন ঐক্যবদ্ধ এবং তাঁর নেতৃত্বেই দলীয় নেতাকর্মীরা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের আন্দোলনে অগ্রসরমান ঠিক সেই মূহুর্তে শফিকুর রহমান চৌধুরীর ইলিয়াস আলী ও তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে কটুক্তি ইলিয়াস আলী গুমের ঘটনায় তার ও তার দলীয় সরকারের সম্পৃক্ততার সন্দেহকেই আরেকবার প্রমাণ করে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সিলেটের কোটি মানুষের নেতা জননেতা এম ইলিয়াস আলী ও মিসেস তাহসিনা রুশদীর লুনা সম্পর্কে শফিকুর রহমান চৌধুরীর বক্তব্য প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। অন্যথায় সময়ই এর সঠিক ও দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট এম নুরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলদার হোসেন সেলিম, এডভোকেট আব্দুল গফফার, আবুল কাহের শামীম, আব্দুর রাজ্জাক, আলী আহমদ, এডভোকেট শামসুজ্জামান জামান, আব্দুল মান্নান, এমরান আহমদ চৌধুরী।