সিলেটপোস্টরিপোর্ট:গোলাপগঞ্জে এক মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির সম্পত্তির উপর চোখ পড়েছে রাজাকার আর এক সাবেক ছাত্রদল নেতার। তারা মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ বাড়ির দখলও নিয়েছে। সোমবার সকালে গোলাপগঞ্জের নালিউড়ি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রাজাকার আব্দুল হক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এসএ রিপনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা চালায়।নালিউরির মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি মরহুম ফজিরউদ্দিন মনাই ও ছায়ারুন বেগমের বাড়ির পুকুর পাড়ের গাছপালা কেটে ব্যাপক ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। বাড়ির সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে দেয় তারা। হামলার পরপর ছায়ারুন বেগমের ছেলে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ থাকা অবস্থায় রাজাকার আব্দুল হক ও রিপন পুলিশ ডাকার কারণে আবার হামলা করার হুমকি দেয়। এদিকে সন্ত্রাসীদের হামলার ভায়ে ছায়ারুনের সন্তানেরা চরম নিরাপত্তাহীনতার ভূগছেন।স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ছায়ারুনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ফজিরউদ্দিন মনাই এর তিন একর ভূমি আব্দুল হক ও তার বাড়ির লোকজন দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছিলো। বর্তমান জরিপে ছায়ারুন বেগমের সন্তানেরা ঐ জমি তাদের বলে জানতে পারে। পরে তারা তাদের জমি ছেড়ে দিতে বললে আব্দুল হক ও তার স্বজনরা জমি ছাড়তে অস্বীকার করে। পরে তারা তাদের জমি ফিরে পেতে জরিপের আপিল বিভাগে মামলা দায়ের করলে আব্দুল হক ও তার ভাতিজা রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।সোমবার সকালে আব্দুল হক ও রিপনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ছায়ারুনের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির পুকুর পাড়ের গাছপালা ও সবজি ক্ষেত ধ্বংস করে পুকুরে ফেলে দেয় এবং বড়ির সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে। এসময় ছায়ারুনের সন্তানেরা বাধাদেয়ার চেষ্টা করলে তাদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।মুক্তিযোদ্ধা ছায়ারুনের বড় ছেলে মুজিবুর রহমান বাছিত জানান, স্বাধীনতার পরপর মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার আব্দুল হককে আটক করে হত্য তরতে গেলে তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ফজিরউদ্দিন মনাই তাকে প্রানে মারা থেকে রক্ষা করেন। যার জীবন রক্ষা করলেন সেই রাজাকার আবার তার বাড়ী দখলের চেষ্টা করছে। একথা বলার সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এসএ রিপনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে তারা জানান। তাদের হামলার ভয়ে তার পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকের মধ্যে রয়েছেন।এদিকে গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।