মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার এক বিবৃতিতে বেগম জিয়া এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাষানী-যাঁকে মজলুম জননেতা হিসেবে মানুষ জানেন, তিনি ছিলেন আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা এবং দেশে জাতীয় সংকটে মুক্তির দিশারী। সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ, উপনিবেশবাদ বিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামে তিনি জীবদ্দশায় আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মজলুম জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শোষকের বিরুদ্ধে মওলানা ভাষানী নির্ভিক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাকিস্তানী গণবিরোধী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তিনি সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ৫০ দশকেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, স্বাধীকার এবং এক পর্যায়ে স্বাধীনতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা তথা গণতন্ত্র, মৌলিক-মানবাধিকারসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা প্রশ্নেও কোনো আপোষ করেননি।’
দেশে এক নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায়: খালেদা জিয়া
সিলেট পোস্ট রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে এক নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় বসে আছে। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ধুলায় লুণ্ঠিত। মানুষের ভোটের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকার গায়ের জোরে তাদের অপশাসন বজায় রেখেছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া দেশ পরিচালনাকারী এ সরকারের শাসনামলে আজ শুধুই গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারগুলোই বিপন্ন হয়ে পড়েনি-জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। আগ্রাসী শক্তির আগ্রাসী হুমকির মুখে রয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। জাতির এই সংকটের মুহূর্তে মজলুম জননেতা মওলানা ভাষানীর প্রদর্শিত পথই দেশের মানুষকে শক্তি ও সাহস যোগাবে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে এবং অপশাসন, অপরাজনীতিকে জনগণের ইচ্ছাধীনে পরাস্ত করতে।’