সিলেটপোস্টরিপোর্ট :এটিএন নিউজ সিলেটের ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক যুগভেরীর বার্তা সম্পাদক সজল ছত্রীর বাসা থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ, লক্ষাধিক টাকা ও অন্যান্য জরুরী কাগজপত্রসহ এক যুবককে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক সঞ্জু তালুকদার (২১) দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ডুংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।সঞ্জুকে চুরি যাওয়া মালামালসহ কতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সজল ছত্রী জানান, নগরীর আম্বরখানার ইস্টার্ন প্লাজার একটি মেসবাড়িতে ভাড়া থাকা অবস্থায় সঞ্জু তাঁর রুমমেট ছিলো। এর আগে টানা তিনদফায় তাঁর রুমের তালা খুলে প্রায় দেড়লক্ষ টাকা চুরি করা হয়। চোর সনাক্ত করতে না পারায় মেস থেকে সঞ্জুসহ সবাইকে বের করে দেয়া হয়। গত ৭নভেম্বর থেকে তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপটিও খুঁজে না পেয়ে প্রাথমিকভাবে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন।আম্বরখানা ফাঁড়ি ইনচার্জ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জেরা করেও চোর সনাক্ত করতে পারেন নি।পরে মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর চৌহাট্টাস্থ আরএন টাওয়ারের আইটি সলিউশন নামের একটি কম্পিউটারের দোকানে ল্যাপটপটির সন্ধান পাওয়া যায়। দোকানের মালিকের সহযোগিতায় সন্ধ্যায় ল্যাপটপ বিক্রেতা সঞ্জুকে হাতেনাতে আটক করা হয়।সজল ছত্রী আরো জানান, মেস থাকাকালীন অবস্থায় সে ডুপ্লিকেট চাবি বানিয়ে রাখে। পরবর্তীতে মেস ছাড়ার পরও এই ডুপ্লিকেট চাবি ব্যবহার করেই তাঁর রুম থেকে ল্যাপটপসহ অন্যান্য অ্যাকাডেমিক, প্রফেশনাল সনদপত্র ও ব্যাংকের কাগজপত্র চুরি করে সঞ্জু।আটককৃত সঞ্জুকে সিলেটের টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়ার কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে ল্যাপটপ ও টাকা চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। এসময় সুজন তালুকদার নামে একজন জালালাবাদ থানার পিএসআই পরিচয় দিয়ে চোর সঞ্জু তালুকদারকে ছিনিয়ে নিয়োর চেষ্টা করে।পরে কতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে সঞ্জুকে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে সজল ছত্রী বাদি হয়ে কতোয়ালি থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।আটক সঞ্জুকে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন জিন্দাবাজার এলাকার কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি লায়েক আহমদ, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা)’র সভাপতি মঈনুল হক বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন শিহাব, টেলিভিশন জার্নালিস্ট ইউনিয়নের সভাপতি ইকরামুল কবির ইকু, যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো চিফ মাহবুবুর রহমান রিপন, এসএ টিভির ব্যুরো চিফ আব্দুল আলিম শাহসহ সিলেটের অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।এদিকে চুরির মালামালসহ হাতেনাতে আটক সঞ্জুকে ছাড়িয়ে নিতে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিককে ফোনে সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয় দিয়ে হুমকি প্রদান করা হয়। এসময় চোরকে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে যেতে পিএসআই সুজন তালুকদার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সুজন তালুকদার নিজেকে জালালাবাদ থানার পিএসআই এবং সঞ্জুর আত্মীয় বলে পরিচয় প্রদান করেন।বিভিন্ন দফায় চুরি ও চুরির মালামালসহ চোর হাতেনাতে আটক হওয়ার ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা সজল ছত্রী।এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফয়েজ আহমদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চুরি যাওয়া জিনিস ও হাতেনাতে আটক চোরকে জিম্মায় নিয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিলেটপোস্টরিপোর্ট:শেখ লুৎফুর/১৮/১১/২০১৫